গত ৩ অক্টোবর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খানকে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি আরিয়ান। মন্নত ছেড়ে আর্থার রোডের জেলে কাটাতে হচ্ছে আরিয়ানকে।বর্তমানে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শাহরুখ-পুত্রের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার মেয়াদ। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় অবধি তাঁকে হেফাজতে থাকার থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই আরিয়ান জামিনের আবেদন করা হয়েছে বম্বে হাই কোর্টে। যার শুনানি হওয়ার কথা আগামী মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর।
বারবার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় স্বভাবতই মনমরা হয়ে রয়েছেন আরিয়ান। মায়ের জন্মদিন, নবরাত্রি, দশেরা, জীবনের বিশেষ দিনগুলি জেলের রুদ্ধদ্বারেই কাটিয়ে দিচ্ছেন আরিয়ান। ঝাঁ চকচকে ‘মন্নত’-এর রাজকুমার সে। ২৩ বছরে এই প্রথম এমন দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে বাদশা পুত্রকে।দেখতে দেখতে কেটে গেল দিন কুড়ি। আর্থার রোড জেলের বিশেষ ব্যারাকে এখন তিনি বন্দী। এখন আরিয়ানের পরিচয় কয়েদি নম্বর ৯৫৬।
কিন্তু সেখানে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন আরিয়ান? এই প্রশ্নের উত্তর দিল এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এনসিবি-র আধিকারিকরা। তাঁরা জানালেন, আর পাঁচজন কয়েদিদের মতোই দিন যাপন করছেন আরিয়ান। হেফাজতের প্রথম দিকে তিনি কয়েকটি বিজ্ঞানের বই পড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি মেনে ওই বইগুলো আনানো হয়েছিল। সেই সময় জেলের অভ্যন্তরে কারও সঙ্গে কথা বলছেন না আরিয়ান। তদন্তের স্বার্থে এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময় সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে শুধুমাত্র কথোপকথন হয়েছে তাঁর।
এরপর একবার ভিডিও কলে শাহরুখ, গৌরীর সঙ্গে কথা বলেছেন, আর একবার শাহরুখ এসে ছেলের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। বাকি সময়টুকু বই নিয়েই কাটাচ্ছেন আরিয়ান। জেল আধিকারিকরাই নাকি তাঁকে বই পড়ে তাঁর মন ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। জেল লাইব্রেরি থেকে শাহরুখ পুত্রের জন্য গোটা দু’য়েক বইয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটির নাম ‘দ্য লায়ন’স গেট’। অন্য বইটি ধর্মীয় বিষয়ে। জানা যাচ্ছে, শ্রী রামচন্দ্র এবং মা সীতাকে নিয়ে বর্ণিত সেই বইয়ে আপাতত মগ্ন হয়েছেন দিয়েছেন আরিয়ান। এক মনে নাকি সেই বই পড়ছেন তিনি।