বলিউডের প্রথম সারির গায়কদের মধ্যে একজন হল হিমেশ রেশমিয়ার। পনেরো বছর ধরে একের পর এক হিট গান গেয়েছেন হিমেশ। একসময়ে ‘হিমেশ জ্বর’-এ কাবু হয়েছিল বলিউড ইন্ড্রাস্টি। একের পর এক ছবিতে হিমেশ রেশমিয়ার করা সুর ও গাওয়া গানে মাতোয়ারা ছিলেন বহু গান প্রিয় দর্শক। একসময় হিমেশ যে সিনেমায় গান গাইতেন সেটাই হিট হয়ে যেতো। তাই হিমেশের বলিউডে একটা ডাক নাম ও দেওয়া হয়৷ হিমেশের হাত ধরে বহু গায়ক বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আজ হিমেশ মিউজিক রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক ও।
তবে এত কিছুর মধ্যেও এই সুরকার-গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি নাকি বড্ড নাকি সুরে গান গেয়েছেন বলিউডে। একবার দুবার নয় বার বার এই অভিযোগ করা হয় হিমেশের বিরুদ্ধে। একবার এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপক্ষে হিমেশ বলেছিলেন,’কিংবদন্তি বলিউড সুরকার তথা গায়ক রাহুল দেব বর্মনও তাঁর মতো নাকি সুরে গান গাইতেন। তিনি আরো বলেন, সেই সময় তো তাঁর বিরুদ্ধে কখনও এই অভিযোগ কেউ করেননি।
হিমেশের এহেন মন্তব্য প্রকাশ হতেই বলিউডের অন্যতম কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে হিমেশের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে হিমেশের নাম না করেই কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ বলেন যে আর ডি বর্মন নাকি সুরে গান গাইতেন, তাহলে তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড় মারা উচিৎ!’গায়িকার এই বাক্য কাকে উদ্দেশ্য করে বলা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
তবে এই কথা শোনাত পর হিমেশ নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তিনি আর কোনওরকম তর্ক বিতর্ক না করে প্রকাশ্যেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন হিমেশ। নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি জানিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গে আর ডি বর্মনের নাম তোলা মোটেই তাঁর ঠিক কাজ করেননি তিনি। তিনি আশাজির নাম উল্লেখ না করেই বলেন,’ আর ডি বর্মনকে অপমান করার কোনও ইচ্ছে কখনই তাঁর ছিলনা। তিনি আর ডি বর্মনের গান শুনেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন।
তিনি কেন এই মন্তব্য করেন সেই কথাও জানান। তিনি এই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের কারণ হিসেবে হিমেশ নিজের হয়ে যুক্তি দিয়ে বলেন যে এক অনুষ্ঠান শেষে তাঁর গান গাওয়ার ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেইসময়ে তাঁর গাওয়া প্রায় প্রতিটি গান ব্লকব্লাস্টার হিট ছিল। তাই তিনি নিজেকে সেইসময় সামলাতে পারেননি। সেসব শুনে তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন সেই অভিযোগের জবাবেই আর ডি বর্মন, নুসরত ফতেহ আলি খান-এর মতো গায়কদের নাম তিনি নিয়ে ফেলেন। পরে বুঝেছিলেন তিনি বেশ বড়ভুল করেছেন। কোনওভাবেই সেই প্রসঙ্গে তাঁদের নাম তোলা উচিত ছিলনা। এরপর সুরেলাকন্ঠী আশাজির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। হিমেশ বলেছিলেন, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে বর্ষীয়ান গায়িকাকে আঘাত করার জন্য তিনি খুবই অনুতপ্ত।