কলকাতা : ঘটনার পর আড়াইদিন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও অধরা আনন্দপুরকান্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডে। এই ঘটনার পরে অভিষেক পান্ডে দোষী বলেও স্বীকার করেছেন তাঁর মা। পুলিশ সূত্রের খবর তিন বছর আগে অভিষেক পান্ডের বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু দু-এক বছর সংসার করার পরেই ডিভোর্স হয়ে যায়। এমনকি স্ত্রীকেও নানাভাবে অত্যাচার করতো অভিষেক।
বিয়ের পরেও যখন তখন বিভিন্ন মহিলাকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন। এমনকি ওই নির্যাতিতার সঙ্গে ডিভোর্সের আগে থেকেই আলাপ ছিল অভিষেকের। এক সময়ে তারা দুজনেই সহকর্মী ছিলেন। এতোকিছুর পরেও এদিন মুখ খুলতে চাননি ওই নির্যাতিতা। পুলিশ সূত্রে খবর ওই নির্যাতিতার বক্তব্যে রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি। বার বার জিজ্ঞেস করা হলেও সে অনেক কিছুই গোপন করে গেছেন। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর আজ গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।
প্রসঙ্গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্যাটেরর সামনে থেকে হন্ডাসিটি করে আনন্দপুরের নির্যাতিতাকে ঘুরতে নিয়ে যায় অভিষেক পাণ্ডে। ঘুরতে বেড়িয়ে প্রথমে পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁরা। খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেন দুজন। পরে অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগর পৌঁছায় তাঁরা।
এরপরেই ওই তরুণী অভিযুক্তকে নয়াবাদের বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার পরেই চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিষেক। ওই তরুনী বাধা দেওয়ায় তখনই তাঁকে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করে অভিষেক।ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হয়েছে পাঁটুলির ওই রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ। বাইপাসে যে সব সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিলো, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখনো সেরকম কোন তথ্যই আসেনি পুলিশের হাতে।