শুভেন্দু অধিকারী এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্প্রতি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের সমস্ত পদ থেকে। তাদেরকে ঘিরে বর্তমানে রাজনৈতিক দোলাচল তুঙ্গে। এই দাপুটে দুই নেতার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইছেন সকলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে করছেন, তারা দুজন বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই, শুভেন্দু অধিকারী কে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন সকল নেতারা। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের অনেকেই চাইছেন না যাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে যোগ দিন।
শুভেন্দু এবং জিতেন্দ্রর ইস্তফা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন মন্তব্য করলেন,”ঘুঘুর বাসা সবাই ছাড়তে চাইছে।” সৌগত রায় এর নাম করে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছেন,”সৌগত বাবু ঠিকই বলেছেন। ডুবন্ত জাহাজে কেউই থাকতে চায় না। তাই তৃণমূল নামক ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে সকলেই বেরিয়ে আসতে চাইছে।” দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেছেন,” আমি অনেকদিন আগেই বলেছিলাম যে ডিসেম্বরের পর তৃণমূলের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি যে ভুল বলিনি তা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল। শুভেন্দুর দলবদল এর গুঞ্জন উস্কে দিয়ে তিনি বলেছেন,”আমিও শুনছি চারপাশে উনি আসবেন কিন্তু জানিনা।”
কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিয়ে তাকে তেমন কোনো মন্তব্য করতে শোনা গেল না। শুভেন্দু কে নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু বিজেপিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি যোগদান করলে তারা খুব একটা খুশি হবেন না বলে ভিডিওতে বার্তা দিয়েছেন বাবুল। বাবুল বলেছেন,”আমার দলের কর্মীদের উপর এতদিন ধরে আঘাত হয়েছে, এতদিন মারধর হয়েছে। কিন্তু নেপথ্যে ছিলেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। মানুষ হিসেবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কে আমার খুব একটা পছন্দ নয়। কিন্তু তাকে বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়ে যদি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমার অভিযোগের কোনো কারণ নেই। তবে আমার মন থেকে সায় নেই।”
অগ্নিমিত্রা পল মোটামুটি একই মন্তব্য করেছেন। তিনি এদিন বললেন,”শুভেন্দু অধিকারী কে বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি কে আসানসোলের মানুষ পছন্দ করেন না। ” প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রাক্তন শীর্ষ ছাত্র নেতা সুজিত শাম বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। আগামী সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তার হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেবেন।