কলকাতা পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে কে হবেন কলকাতার পরবর্তী মেয়র। এর মধ্যে জল্পনা শুরু হয় মাস কয়েক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয় বুঝি এইবারের পুরোভোটে লড়বেন। তিনিই নাকি হবেন কলকাতার নতুন মেয়র। কিন্তু সেই আসায় জল পড়ল শুক্রবার। এদিন তৃণমূলের প্রকাশিত প্রার্থীতালিকায় বাবুলের নাম না নেই। এরপরেই ফের বাবুলকে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
রাজ্যসভার আসন অর্থাৎ যেটা অর্পিতা ঘোষ ছেড়ে গিয়েছিলেন সেই স্থানে বাবুলের জায়গা না হওয়ায় এর আগেও অনুপম হাজরার কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আগের মতই ফেসবুকে আরো একবার বাবুলকে নিশানা করে বিজেপি নেতা বলেছেন, “প্লেইং ১১-এ খেলতে চাওয়া ছেলেটা আজও মাঠের বাইরে… ভাবলাম রাজ্যসভায় পাঠাবে…হল না!!! …ভাবলাম উপনির্বাচনে টিকিট দিয়ে মন্ত্রী বানাবে… টিকিট দিল না!!! …ভাবলাম কর্পোরেশন ইলেকশনে টিকিট দিয়ে মেয়র বানাবে…সেটা করল না!!! …তার মানে নিশ্চয় এক্কেবারে তৃণমূলের প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট।”
উল্লেখ্য,রাজ্যসভার আসনে তৃণমূলে গোয়ার প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেরিও নাম ঘোষণা করার সময় তখনও তিনি কটাক্ষ করে লিখেছিলেন, “গোয়ার ছেলেটাকে রাজ্যসভায় পাঠাল, অথচ প্লেয়িং ১১-য় খেলতে চাওয়া বাংলার ছেলেটাকে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখল। ভারি অন্যায়। তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
বাবুল সুপ্রিয়কে এইভাবে কটাক্ষ করে অনুপম হাজরা কার্যত তাঁকে মর্মাহত করতে চাইলেন। যদিও অনুপমের কটাক্ষের পাল্টা বাবুল কোনও জবাব দেননি। তিনি ইতিমধ্যে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন। তাই ধরা হয়েছিল এইবার তাঁকে রাজ্যসভায় তাঁকে পাঠানো হবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এমন কথা তাঁর হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেননি। আবার মেয়র হবেন এমন কথা কখো উল্লেখ করেননি। বিজেপি নেতারা এগুলিই ধরে নিয়েছিলেন বলে অনুপমের পোস্ট থেকে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তৃণমূল কোনও জায়গাতেই তাঁকে না রাখায় বার বার বিজেপি নেতাদের কটাক্ষের মুখে বাবুল।