অরূপ মাহাত: তৃণমূলের সাথে মান-অভিমানের পালা চলাকালীন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিত্যসঙ্গী ছিলেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঃসময়ের সেই দিনগুলোতে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে সব জায়গাতেই। ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপে সঙ্গী থেকেছেন বৈশাখী। তৃণমূল ছেড়ে যেদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন শোভন সেদিনও সঙ্গী এই বিশেষ বন্ধু। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় তাদের একই রঙের পোশাকেও দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
সেই বৈশাখী দেবী যখন বিজেপিতে গুরুত্ব পেলেন না তখন দুঃখ পাবেন না কি হয়! ফলে বৈশাখী দেবী তৃণমূলের কাছাকাছি আসতেই প্রাক্তন মেয়রের পুরানো দলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা বাড়ে। ভাইফোঁটায় শোভনের দিদির বাড়ি যাওয়াতেও বৈশাখীর দৌত্যই কাজ করছে বলে মনে করেন অনেকে। তাই আজ নিজের কলেজের কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেশাখী দেবী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলে জল্পনা বাড়ে।
সেখান থেকে বেরানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর ঈঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য সেই জল্পনাকে আরও শক্তিশালী করে। শোভনবাবুর পুনরায় তৃণমূলে ফেরা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যে আশা নিয়ে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তা সেখানে পাননি।’ তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে কবে যোগ দিচ্ছেন শোভনবাবু? এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।