উত্তরবঙ্গের সফর সেরে কিছুদিন আগেই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইতিমধ্যেই রাজভবনে তার সাথে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হঠাৎ সাক্ষাৎ নিয়ে জোড় সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে রাজভবনে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিঠি এসে পৌঁছেছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সাধারণ চিঠি নয়। সরাসরি বদলির নোটিস পেলেন তিনি। মিল্লি আল আমি থেকে তার বদলি হয়ে গিয়েছে রামমোহন কলেজে।
জানা গিয়েছে যে তাকে বদলি করা হবে সেই সন্দেহ করেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন বৈশাখী। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেন দুই জন নেতা-নেত্রী। এইদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,”আল আমিন কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বৈশাখীকে। কিন্তু কলেজ ত রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। আত্মসমালোচনা করা উচিৎ সরকারের। রাজ্যপাল গোটা বিষয়টি শুনেছেন বলে সূত্রের খবর।
বৈশাখীর প্রধান অভিযোগ ছিল ফিরহাদের বিরুদ্ধে। এইদিন তিনি বলেন, ফিরহাদ তাকে হুমকি দিয়েছে কলেজ থেকে উৎখাতের। বৈশাখীর বক্তব্য,উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন,”আমি জুন মাসে পদত্যাগ করেছি। তার পরও সব দোষ দেওয়া হচ্ছে আমার ওপরে। পড়ুয়াদের অন্য পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পোস্টারে দেওয়া হচ্ছে আমার নাম। ফিরহাদ হাকিমের কি এমন অধিকার আছে যে সে আমাকে উৎখাত করবে? তিনি আমায় চাকরি দেননি।” কিন্তু এই বদলি বিপদের কথা ভবেই সেই বিপদকে আটকাতে রাজ্যপালের কাছে যান শোভন-বৈশাখী। বলা বাহুল্য, শনিবার বদলি করা হয়েছে বৈশাখীকে। রাম মোহন কলেজে এইবার থেকে পড়াবেন তিনি। তার দাবি, এটা কেবল একটি বদলি নয়, ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য শাস্তিমূলক এক পদক্ষেপ এটি। তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বৈশাখী।