ফাঁদ পাতছে চিন, করোনার ভ্যাকসিন তৈরী করলে প্রথমেই পাবে বাংলাদেশ
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে সবরকম সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবে চিন।
করোনার উৎপত্তিস্থল চিনের উহান শহর থেকে বর্তমানে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। আর এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে অধিকাংশ দেশই মানব শরীরের উপযোগী প্রতিষেধক তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেরকম ভাবে চিনেও শুরু হয়েছে করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজ। আর এই কাজে চিন সাফল্য পেলে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে কোনো প্রতিষেধক তৈরি হলে তা সবার প্রথমে বাংলাদেশে দেওয়া হবে, গতকাল ঢাকায় চিনের দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন Hualong Yan এমনটাই জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন আগে লাদাখ সীমান্তে গালোয়ান উপত্যকায় চিন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। আর এরপরই চিনাদের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতীয়রা। চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ভারতের পড়শী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করে ভারতকে কোনঠাসা করছে চিন, এমনই মত ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে।
যদিও করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকেই বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে চিন। গত ২০শে মে করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন টেলিফোনের মাধ্যমে। এরপর চিনের তরফ থেকে জানান হয়, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে সবরকম সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবে চিন। এছাড়া চিনে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে শুল্ক মুকুব করা হয়। যার ফলে এবার থেকে চিনে পণ্য প্রেরণ করলে শুল্ক মুকুবের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।