Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

বাংলাদেশে চালু নতুন নোট, শেখ মুজিবরের ছবি বাদ, কেন এই সিদ্ধান্ত?

Updated :  Monday, June 2, 2025 1:53 PM

বাংলাদেশের মুদ্রা নীতিতে ঘটল বড় পরিবর্তন। ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ছাড়ল নতুন ডিজাইনের টাকা, যেখানে আর নেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের চেনা মুখ। এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে জাগিয়েছে প্রশ্ন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও।

নতুন মুদ্রাগুলি বাজারে এসেছে তিনটি মূল্যমানের—৳২০, ৳৫০ ও ৳১০০০। আগের মতো মুজিবের প্রতিকৃতি বাদ দিয়ে এবার গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন। নতুন নোটে দেখা যাচ্ছে কান্তজিউ মন্দির, আহসান মঞ্জিল ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি। এই পরিবর্তনকে ‘অরাজনৈতিক’ বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মানবচিত্র বাদ দিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার লক্ষ্যেই এই নতুন নীতির সূচনা। ধাপে ধাপে অন্যান্য মূল্যমানের টাকাও একই নকশায় বাজারে ছাড়া হবে। তবে আগের নোট ও কয়েন, যেগুলিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে, সেগুলি এখনও বৈধ এবং চলতে থাকবে।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক মেরুকরণ চরমে। শেখ হাসিনা, যিনি শেখ মুজিবের কন্যা, তাঁর সরকারের পরবর্তী সময়েই এই নতুন নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর ফলে নতুন মুদ্রার নকশা নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও উঠেছে। কেউ বলছেন, এটি ইতিহাস ভুলে যাওয়ার চেষ্টার শুরু, আবার কেউ এটিকে একটি নিরপেক্ষ ও সংস্কৃতিমূলক পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছেন।

এখন দেখার, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তন কীভাবে গৃহীত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে কী প্রভাব ফেলে।

প্রশ্নোত্তর: জানুন নতুন নোট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১. কবে থেকে নতুন ডিজাইনের নোট চালু হয়েছে?
→ ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে বাজারে এসেছে নতুন মুদ্রা।

২. কোন কোন মূল্যমানের নোটে পরিবর্তন হয়েছে?
→ আপাতত ৳২০, ৳৫০ ও ৳১০০০ নোটে পরিবর্তন হয়েছে।

৩. নতুন নোটে কী ছবি আছে?
→ কান্তজিউ মন্দির, আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

৪. পুরনো নোট কি এখনও চলবে?
→ হ্যাঁ, পুরনো নোট এবং কয়েন এখনও বৈধ এবং ব্যবহার করা যাবে।

৫. কেন শেখ মুজিবের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে?
→ সরকার বলছে, মানবচিত্র বাদ দিয়ে ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক নিদর্শন তুলে ধরাই ছিল উদ্দেশ্য।