বেবো ওরফে করিনা কাপুর খান। পতৌদি বাড়ির গৃহবধু তিনি। স্বামী আর দুই ছেলে তৈমুর আলি খান আর জাহাঙ্গির আলি খানের সাথে দিব্যি সংসার করছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ৯ বছরে পা দিল সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। করিনার প্রথম বিয়ে হলেও সইফের ছিল এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আর করিনা সইফের অতীত আর তার দুই ছেলে মেয়ে জেনেই অভিনেতার প্রেমে পড়েছিলেন। এদের সুখের সংসারে সইফের পুরোনো স্ত্রী কোনোদিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং ইব্রাহিম ও সারা আলি খান স্বচ্ছন্দে তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিয়েছেন। এমনকি ছোট তৈমুর আর জেহকে এরা চোখে হারায়।
সইফ আর করিনাকে অনুগামীরা ভালোবেসে নাম দিয়েছেন সাইফিনা। বেবো নিজের বয়সে নিজের চেয়ে বড় ১০ বছরের সইফের সঙ্গে প্রেম থেকে সম্পর্ক বিবাহ সবটাই ছিল বেশ রাজকীয়। একটা সময় এমন ছিল বেবো নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে সইফকে বিয়ে করতেও রাজি ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী একথা স্বীকার করেছেন। এমনকী নিজের পরিবারকে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন বলিপাড়ার এই কাপল। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই জুটি?
সইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগেই বেবো অভিনেতা শহীদ কাপুরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন করিনা। এঁদের ব্রেক আপের পর পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। আগে থেকে সইফ আর করিনা খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। তবে সেই সময় ‘টশন’ ছবির সেটেই নবাবের সাথে খানের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে করিনার। আর সেখানেই শুটিং সেট থেকে সময় বার করে তাঁরা দেখা করতেন।
ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে প্রথমবার জুটি হিসেবে সইফিনাক একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এবং সেখানেই প্রথম সইফ তাদের ডেটিংয়ের কথা স্বীকার করেছিলেন। বিয়ে করার আগে একে অপরের কো-স্টার হিসেবেই কাজ করেছেন বলিউডের অন্যতম লাভ বার্ডস। দুজনের সম্পর্কের ব্যবধানও প্রায় ১০ বছর হলে ভালোবাসায় কোনো ঘাটতি হয়নি।তবে দুজনের বিয়ের আগে চুটিয়ে পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেছেন। এমনকি বিয়ের আগেই লিভ-ইনে সম্পর্কে থাকতেন সইফ-করিনা ।
এরপর তাঁরা রাজকীয় ভাবে পরিবারের সম্মতিতে গাটছড়া বেঁধেছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে বেবো নিজেই জানিয়েছিলেন, ১০ বছরের বড় সইফকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে একবার পালাতেও প্রস্তুত ছিলেন বেবো।তিনি নিজের পরিবারকেও হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁদর দুজনের বিয়ের খবর যদি সেই সময় ফাঁস হয়ে যায় তাহলে দুজনে পালিয়ে যাবেন৷। করিনা আরও জানিয়েছিলেন, সইফকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়াত কারণ তিনি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন। বিয়ের পর সিনেমাতে কাজ করা, এই সমস্ত কিছুই মেনে নিয়েছিল সইফ আলি খান।
এননকি এখন করিন্ব দুই সন্তানের মা। ছেলেদের সামলানোর পাশাপাশি চুটিয়ে সিনেমার অভিনয় করছেন। এমনকি দ্বিতীয়বার গর্ভাবস্থায় আমির খানের সাথে ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমাতে অভিনয় করেন । কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন অভিনেতার দুবার মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন অন্তঃসত্ত্বা প্রে কখনওই সাফল্যের পথে বাঁধা নয়। করিনার লেখা বই প্রেগন্যান্সি বাইবেল-এ নিজের অন্তঃসত্ত্বা পিরিয়ডের নানান অজানা গোপন রহস্য তুলে ধরেছেন। এখন দুই ছেলে আর স্বামীকে প্রায়শই নানান সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে থাকেন।