বেজিংয়ের সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে চলছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির আইনপ্রণেতাদের জন্য বিশেষ ক্লাস। চিন নেপালিদের এই ক্লাসের মাধ্যমে শেখাচ্ছে, কীভাবে শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জিপিএস এংব অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন কাজ করে। চিনের এই ক্লাস নিতে নেপালিদের উতসাহও অনেক।
মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএসের একাধিপত্য ভাঙা ও নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম চালানোর লক্ষ্যেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও এমনটা করেনি চিন তবে এখন কেন এমন করছে তা বোঝার জো নেই কারো। এছাড়াও এই বেইদু পাকিস্তান, মিশর ও ইন্দোনেশিয়ার মত ৩০-এর কাছাকাছি দেশেও কাজ করে।
জিপিএসের প্রতিদ্বন্দ্বী এই বিডিএস বিশ্বের চতুর্থ স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম। অন্যগুলি হল রাশিয়ার গ্লোনাস এবং ইইউয়ের গ্যালিলিও। ভারতও তৈরি করছে তাদের নিজস্ব রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম যার অপারেশনাল নাম নাবিক।
এই বিডিএম কার্যকর হলে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র নাশক ব্যবস্থার জিপিএস ও গ্লোনাসের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে, বিদেশে অপারেশন চালাতে অনেক বেশি স্বয়ম্ভর হবে পিপলস লিবারেশন আর্মি।