আগামী বছরের গোড়া থেকেই শুরু হতে চলেছে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফি। পাশাপাশি এই ট্রফি দিয়েই শুরু হতে চলেছে বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুম। ইতিপূর্বে বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জ কাপে গা ঘামিয়ে নিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটাররা। ফাইনালে তপন মেমোরিয়ালের হয়ে দুরন্ত পারফরম্য়ান্স করেছিলেন বাংলার তরুণ অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। তবে এবার লক্ষ্য সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফি। এই টুর্নামেন্ট জিততে মরিয়া বাংলার ক্রিকেটাররা।
আজ লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে হল বাংলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন। অনুশীলনের ফাঁকে বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি বললেন, ‘আমরা সকাল থেকে দুটো সেশন করছি। প্রথমটা সকাল থেকে বারোটা-একটা পর্যন্ত অনুশীলন করছি। তারপর দুপুরের লাঞ্চ। লাঞ্চের পর আবারও অনুশীলন করছি। ভিভিএস লক্ষণ আমাদের এখানে ১০ দিনের ক্যাম্প করাতে এসেছেন। আর উনি থাকলে আমাদের লম্বা লম্বা সেশন হয়। সবথেকে বড় কথা অনুশীলনটা খুব ভালো হয়।’
কোভিড মহামারীর কারণে গোটা দেশের ক্রিকেট কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে আবারও সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বায়ো বাবলের মধ্যে আইপিএল ২০২০ আয়োজিত হয়েছে। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলার ক্রিকেটও আবার নতুন করে অক্সিজেন নিতে শুরু করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে সৈয়দ মুস্তাক ট্রফি। তবে রনজি ট্রফি কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আপাতত মনে করা হচ্ছে, সৈয়দ মুস্তাক ট্রফির সাফল্যের উপরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের আগামী রূপরেখা নির্ভর করছে।
বায়ো বাবলের মধ্যেই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সৈয়দ মুস্তাক ট্রফি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য আগামী ২ জানুয়ারি প্রতিটা দলকেই নিজের নিজের হাবে পৌঁছে যেতে হবে। তাঁর কথায় এটা স্পষ্ট যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আবারও ঘরোয়া ক্রিকেটের ভিত মজবুত করতে চাইছে।
সেইসঙ্গে মনোজ আরও জানালেন, ‘আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য যা যা দরকার, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলার ক্রিকেটাররা। একদিকে মিটিং হচ্ছে, পাশাপাশি নেট হচ্ছে, অনুশীলন চলছে। সবধরনের প্রস্তুতিই আমরা আপাতত নিচ্ছি। আমরা সকলেই জানি যে টুর্নামেন্টের যে নতুন নিয়ম হয়েছে তাতে একটাই টিম কোয়ালিফাই করবে। সেকারণে আমাদের যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি।’