Profitable Business Idea: হাতে ১৫ হাজার টাকা আছে? এই ব্যবসাগুলো শুরু করে প্রতিমাসে রোজগার করুন মোটা টাকা
আপনি যদি সহজে টাকা রোজগার করতে চান তাহলে আপনার কাছে সহজ কিছু উপায় আছে আয় করার আজকের দিনে
এখন ভারতে স্টার্টআপের একটা বিশাল চল শুরু হয়েছে। ভারতের মানুষজন ব্যবসা করতে চাইছেন এবং অনেকেই কিন্তু নতুন নতুন ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা শুরু করছেন। চাকরির সঙ্গে বাড়তি রোজগারের আশায় ব্যবসা করার কথা সবাই ভাবছেন আজকাল। তবে বিষয়টাকে দুইভাবে দেখতে হবে। সবার আগে আপনাকে দেখতে হবে কোন ব্যবসায় আপনার ইচ্ছা আছে, এবং দক্ষতা রয়েছে। ব্যবসায় নামলেই তো আর হলো না, আপনাকে বাজার বিশ্লেষনের কাজটাও আগে করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন কোন ধরনের প্রোডাক্টের চাহিদা রয়েছে, কি কি ধরনের সার্ভিস গ্রাহকরা চাইছেন, সেই সমস্ত বিষয়ে ভালো করে খুটিয়ে দেখতে হবে। আজকের দিনে অল্প টাকাতেই আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে, আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে কিভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করবেন।
আপনার হাতে যদি ১৫ হাজার টাকা থাকে, তাহলে কোন দোকান বা স্টোর না খুলে খুব সহজেই একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনি। অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট বা মিশোর মতো ই-কমার্স প্লাটফর্মে আপনি যদি আপনার জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন। সহজ কথায় বললে, যদি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হয় তাহলে কিন্তু আপনার লাভের অংকটা ভালোই থাকবে। আপনাকে হয় প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে, নয়তো গ্রাহককে সার্ভিস দিতে হবে। অল্প পুঁজিতে যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এগুলোই কিন্তু আপনার সবথেকে ভালো উপায়। এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে নিজেকে সঠিকভাবে আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।।
আপনি যদি বাজার বিশ্লেষণ করতে চান তাহলে আপনি দেখবেন এই সময় আচার পাপড় জ্যাম এবং জেলির মত বিভিন্ন প্রোডাক্ট ভারতের বাজারে বেশ চাহিদা তৈরি করেছে। এইসব ই-কমার্স সাইটে আপনি খুব সহজে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত বিষয়ে আপনি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। কার ওয়াশিং ঘর সাফাই এর মতো সার্ভিস আপনি দিতে পারেন গ্রাহকদের। এসব ও ভালো লাভ রয়েছে। এছাড়াও যারা গার্ডেনিং করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য ভার্মি কম্পোস্ট বা অর্গানিক জিনিসপত্র তৈরি করতে পারেন আপনি। সেগুলো বিক্রি করলে অনলাইনে ভাল টাকা রোজগার করা যায়। বাড়ি সাজানোর জন্য বিভিন্ন স্টাইলিশ জিনিসপত্র আপনি তৈরি করতে পারেন। স্টাইলিশ চেয়ার আসবাবপত্র এবং ফ্যাশন এক্সেসরিজ এর মত জিনিসের বিপুল চাহিদা রয়েছে। মাত্র ১৫,০০০ টাকা দিলে এসব ব্যবসায় আপনি নাম লেখাতে পারেন। তবে এর জন্য কিন্তু ট্রেনিং দরকার। এছাড়াও, আজকের স্মার্টফোনের যুগে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের ব্যবসা একটা দারুন ব্যবসা। তবে যদি আপনি কাজটা শিখতে পারেন, তবেই আপনি এই কাজ করতে পারবেন, না হলে মোবাইল রিপেয়ারিং করা যাবে না।
যারা বাগান করতে ভালোবাসেন, বিশেষত ছাদ বাগান, তাদের কাছে ফুল এবং সবজির চারা খুব প্রয়োজন পড়ে। আপনার যদি এসব ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা থাকে, তাহলে আপনি বনসাই করতে পারেন, এবং সেটা এই ধরনের মানুষদের বিক্রি করতে পারেন যারা বাগান করতে পছন্দ করছেন। অনলাইনে এসব জিনিস বিক্রি করা যায়। পাশাপাশি খাবারদাবারের চাহিদা তো সবসময় থাকেই। অনলাইনে রেস্টুরেন্ট খুলেও আপনি ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারেন। আপনি একটা ক্লাউড কিচেন চালাতে পারেন, যেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। অল্প পুঁজিতে বেশ কিছু কমন সার্ভিস সেন্টার আপনি চালু করতে পারেন। সেখানে গ্রাহকদের সাধারণ কিছু সরকারি সার্ভিস দিয়ে আপনি সেখান থেকে কমিশন পেতে পারেন। এতেও কিন্তু মাস গেলে মোটা টাকা রোজগারের সম্ভাবনা থাকে।