ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে সিনেমা দেখার পাশাপাশি সিরিয়াল দেখার ট্রেন্ড বেশ ভালই রয়েছে। তাইতো একাধিক ভাষাতে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা প্রত্যেকের বাড়িতেই টেলিভিশনে চলে কোনো না কোনো ধারাবাহিক। কমেডি সিরিয়াল হিসেবে একদিকে যেমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, “তারক মেহতা কা উল্টা চশমা”, ঠিক অন্যদিকে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে “ভাবিজি ঘর পার হ্যায়” সিরিয়ালের। এই সিরিয়ালটা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। তারপর প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও কমেডি শো হিসাবে প্রত্যেকের মনের মনিকোঠায় সযত্নে তোলা রয়েছে এই ধারাবাহিক।
শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট এবং সেইসাথে তারকাদের অসাধারণ অভিনয় জমিয়ে তুলেছিল সিরিয়ালটিকে। কমেডি শো হিসাবে ভারতে এই ধারাবাহিক একদম প্রথম তালিকায় থাকবে সারাজীবন। দীর্ঘ সময় ধারাবাহিকে বেশকিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর বদল হলেও, শোয়ের জনপ্রিয়তাতে তাতে এক বিন্দুও আঁচ পড়েনি। পুরনো আঙ্গুরী ভাবি শিল্পা শিন্ডের জায়গায় ধারাবাহিকে নতুনভাবে এসেছিলেন শুভাঙ্গী আত্রে। এই টিভি সিরিয়াল অভিনেত্রী শুভাঙ্গী আত্রে বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয় থাকেন। মাঝে মাঝেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ছবি পোস্ট করে থাকেন যা অবশ্যই ভাইরাল হয়।
তবে সম্প্রতি নাকি এই অভিনেত্রী অনলাইন প্রতারণা শিকার হয়েছিল। দুদিন আগে ঘটে যাওয়া অনলাইন প্রতারণায় অভিনেত্রীর মোটা অংকের টাকা নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে তিনি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে অনলাইনে কেনাকাটার সময় তার সাথে প্রতারণা হয়। ইতিমধ্যেই সাইবার পুলিশ ঘটনার তদন্ত নেমেছে এবং অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে তিনি তাঁর ফ্যানদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
অভিনেত্রী শুভাঙ্গী জানিয়েছেন যে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ তিনি একটি নির্ভরযোগ্য ফ্যাশন ওয়েবসাইট থেকে কিছু কেনাকাটা করেছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছেন। কিছু জিনিস অর্ডার দেয়ার পরই অভিনেত্রীর কাছে একটি ফোন আসে এবং বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করে অর্ডার নম্বর বিস্তারিত জানানো হয়। আপাতভাবে সবকিছু ঠিক থাকলেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে প্রথমত দুই মহিলা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। এরপর দুই ছেলের মধ্যে কথা হয়। তখন ফোনে অভিনেত্রীকে জানানো হয় তিনি প্রিমিয়াম কাস্টমার হওয়ায় তাকে উপহার দেওয়া হচ্ছে। অভিনেত্রী যেহেতু প্রায়শই এমন উপহার সংক্রান্ত ফোন পেয়ে থাকেন তাই তিনি সম্মতি দেন। তখনই জানানো হয় উপহারটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও শুধুমাত্র জিএসটি মূল্য দিতে হবে। তারপর ফোন থেকে ওই অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করতেই ব্যাংক একাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যায়।
এরপরই অভিনেত্রী বুঝে গিয়েছিলেন যে তার সাথে অনলাইন প্রতারণা হয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্ত ব্যাংক একাউন্টের কার্ড ব্লক করে দেন। সাধারণভাবে অভিনেত্রী খুব সচেতন থাকলেও কথার মারপ্যাঁচে তিনি অনলাইন প্রতারণা শিকার হন। অনলাইন প্রতারকরা নিত্যদিন নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে মানুষের কষ্টের টাকা আত্মসাৎ করছে। তাই অভিনেত্রী তাঁর সকল ফ্যানকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। অভিনেত্রীর একাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।