‘ভাগ্যশ্রী’ নামটি শুনতেই চোখে ভাসে একটি মিষ্টি নায়িকার মুখ। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র সেই নস্টালজিয়া। কিন্তু সব এক লহমায় উধাও হয়ে যাবে,যদি আপনি চোখ রাখেন টি.ভি.-র পর্দায় ‘স্টার জলসা’ চ্যানেলে।এই চ্যানেলে চলছে জনপ্রিয় বাংলা ডেইলি সোপ ‘ ভাগ্যলক্ষ্মী’। এই মুহূর্তে এই সিরিয়ালের অনস্ক্রিন নায়িকা ভাগ্যশ্রীর অনস্ক্রিন সংসারের সংস্কারের ভিত টলোমলো। সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে ভাগ্যশ্রীর দেওর শুভ পরীক্ষায় ফেল করেছে এবং সেই রেজাল্ট সে কাউকে জানায়নি। ভাগ্যশ্রী এই কথা জানতে পেরে শুভকে তিরস্কার করে। এইসময় সেখানে প্রবেশ ঘটে ভাগ্যশ্রীর স্বামী ও ননদের।
ননদ আগে থেকেই সন্দিহান ছিল শুভর রেজাল্ট নিয়ে। সে শুভর সামনে এই কথা ভাগ্যশ্রীর স্বামীকে বলতেই শুভ তাকে চড় মারতে যায়। ভাগ্যশ্রী তার হাত চেপে ধরলেও একটি মেয়ের গায়ে হাত তুলতে যাওয়ার অপরাধে ভাগ্যশ্রীর স্বামী অর্থাৎ শুভর দাদা তাকে চড় মারে এবং ‘বড়দাভাই’ বলে ডাকতে বারণ করে। তবে যদি সিরিয়ালের বাইরে আমাদের চারপাশে দেখি,তাহলে বুঝতে পারবো প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে। কিন্তু তাকে আদৌ সাংসারিক বিরোধ বলা যায় কিনা,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দৃশ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্টার জলসা’ ও ‘জি বাংলা’-র কলাকুশলীদের তরজা শুরু হয়েছে।
https://www.facebook.com/watch/?v=375030836968013
একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ‘কপি’ করার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া শুরু হয়েছে ট্রোলিং। নেটিজেনরা রীতিমত ট্রোল করা শুরু করেছেন এই দৃশ্য নিয়ে। বস্তুতঃ দৃশ্যটি এমনভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে যেন মনে হচ্ছে, শুভ পাশ না করলে ভাগ্যশ্রীর সংসার ভেঙে যাবে। এই কারণে এই দৃশ্যটি হাস্যকর হয়ে উঠেছে। ‘ ভাগ্যলক্ষ্মী ‘ সিরিয়ালটি শুরুর সময় থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েছে। তার উপর করোনা অতিমারী মানুষের মানসিক পরিস্থিতিতেও প্রভাব ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দর্শক এখন চাইছেন এমন কোনো কাহিনী যা তাঁদের মনে শিল্পরসের খোরাকের যোগান দেয়। কিন্তু দর্শকদের এই চাহিদা সত্ত্বেও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেইলি সোপগুলির কাহিনীর পুরোনো ধাঁচ কেন বজায় রেখেছেন,সেটাই এখন ভাবার বিষয়।