ভারতীয় সেনার যৌথ অভিযানে খতম হিজবুল মুজাহিদিনের টপ কমান্ডার
ভারতীয় সেনা,জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ এর যৌথ বাহিনী অবশেষে শ্রীনগরে জয়েন্ট অপারেশন করে নিকেশ করল জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের টপ কমান্ডার সাইফুল্লাহকে। এক গোপন সূত্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনী আধিকারিকরা জানতে পেরেছিল শ্রীনগরের রংরেথ এলাকায় দুজন মোস্ট ওয়ান্টেড হিজবুল জঙ্গী ঘাপটি মেরে বসে আছে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সেনা ও সিআরপিএফের যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তারা ফায়ারিং করতে শুরু করে। জবাবে সেনার গুলিতে সাইফুল্লাহ সহ তার সঙ্গী খতম হয়।
জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের টপ কমান্ডার সাইফুল্লাহ ভারতীয় সেনা ও পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল ছিল। সে এ প্লাস প্লাস ক্যাটাগরির জঙ্গির লিস্টে ছিল। সাইফুল্লাহ ওরফে গাজী হায়দার পুলওয়ামার মালাংপোড়া এলাকার অধিবাসী। সে হিজবুল চিফ সৈয়দ সালাউদ্দিনের নির্দেশে গোটা কাশ্মীরে নাশকতার ছক বানাত। এমনকি জঙ্গী রিয়াজের নাইকু নিকেশ হওয়ার পরে সাইফুল্লাহই কাশ্মীরের প্রধান হিজবুল কর্মকর্তা হয়ে উঠেছিল। যত ধরনের হিজবুল এর কার্যকলাপ সব সাইফুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করত। এছাড়াও অস্ত্র ছিনতাই, আইইডি হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণের মতো একের পর এক নিন্দাজনক কাজ করত এই হিজবুল জঙ্গি।
পুলিশ সেনা ও সিআরপিএফের যৌথবাহিনী অভিযানে প্রথমে দুই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তারা পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। এই সময়ে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে দুই জঙ্গিকে কাবু করে যৌথবাহিনী। তারপর ফায়ারিং এ তাদের খতম করে দেওয়া হয়। যদিও এখনো অব্দি সেনার তরফে সাইফুল্লাহের খতম সম্বন্ধিত কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি জানিয়েছেন তারা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত যে জঙ্গীকে তারা খতম করেছেন সে কুখ্যাত সাইফুল্লাহ।
বর্তমানে উপত্যকায় জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। যে এলাকায় জঙ্গী নিকেশ করা হয়েছে সেখানে সেনা ও পুলিশের বিশাল বাহিনী কঠোর পাহারা দিচ্ছে। অনেকদিন ধরেই পুলিশ ও সেনা সাইফুল্লাহকে খুজছিল। অবশেষে নিকেশ করা গেল তাকে। এরকম কুখ্যাত জঙ্গি নিকেশ নিঃসন্দেহে দেশের জন্য একটা বড় খবর। দেশের এমন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গী খতম করা সত্যিই সেনা পুলিশের যৌথ বাহিনীর সাফল্যতার নিদর্শন।