সামনেই আসতে চলেছে ক্রিসমাস উৎসব। সারা দেশ যখন বড়দিনের উৎসবে মাতোয়ারা হবে তখন ভারতকে রক্তাক্ত করতে নাশকতার ছক কষছে জেহাদি সংগঠন।
ইরাক ও সিরিয়ায় ‘ খিলাফত’ এর সাম্রাজ্যের অবসান হলেও এখনও প্রভাবশালী রয়েছে ইসলামিক স্টেটের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করলে জানা যায় যে, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গ এই তিনটি রাজ্যে ইসলামিক স্টেটের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতে ক্রিসমাসেই তারা শ্রীলঙ্কার ইস্টার ডে হামলার মতো একই ধরণের নাশকতার ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনগুলির সাথে সম্পর্ক থাকে না এমন স্লিপার সেল গুলোকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সেলগুলি হামলা চালালেও মূল সংগঠনগুলি অবধি যাতে গোয়েন্দার হাত পৌঁছাতে না পারে এবং বিশেষ কোনো তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে।
গত মাসে সেনেটে এক মার্কিন আধিকারিক বলেছিলেন যে বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইসলামিক স্টেটের শাখা খোরাসন ভারতে নাশকতা চালানোর ছক কষলেও ব্যর্থ হয়েছিল।তাই এবারে আফগানিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশ ভারতেও হামলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই দলটি। এছাড়া গতকাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তামিলনাড়ুর থানাজাবুর এবং তিরুচিলাপল্লীতে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি তল্লাশি করে দুটি ল্যাপটপ, ছয়টি ফোন এবং বেশ কিছু সিম কার্ড সহ পেনড্রাইভ উদ্ধার করলে জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।