বিহারের ভাগলপুরে রবিবার একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গার ওপর নির্মিত সুলতানগঞ্জ-আগুয়ানী চার লেনের সেতুটি আবারও নদীতে তলিয়ে গেছে। তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যে, ৩০টিরও বেশি স্ল্যাব অর্থাৎ প্রায় ১০০ ফুটের একটি অংশ ধসে পড়েছে। খাগরিয়া ও ভাগলপুর জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। মানুষ তাদের ক্যামেরায় পুল ধসের ঘটনা ধারণ করেছে। এই সেতুর ব্যয় প্রায় ১৭৫০ কোটি টাকা এবং এটি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্প। গত বছর এপ্রিলেও এই সেতুর অংশটি ভেঙে পড়েছিল। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে সেতুর একটি অংশ গঙ্গা নদীতে তলিয়ে গেছে। অনেককে কিছু দূর থেকে ভিডিও করতে দেখা যায়। বর্তমানে কেউ আহত বা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিহার রাজ্য সেতু নির্মাণ নিগম খাগরিয়া-এর নির্বাহী প্রকৌশলী যোগেন্দ্র কুমার বলেন, কয়েকটি স্প্যান পড়ে গেছে। আমি বর্তমানে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আপাতত এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, পার্বত্তার বিধায়ক ডঃ সঞ্জীব কুমার বলেন, এই সেতুর গুণমান নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন উঠেছে। এটি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এসপি সিংলা মানসম্মত কাজ করেননি। সঞ্জীব কুমার বলেছেন যে, এই বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তিনি এই প্রকল্পের পরিচালক অলোক ঝাকেও আক্রমণ করেছেন।
সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারকে সরাসরি নিশানা করেছেন বিহার বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজয় সিনহা। বিজয় সিনহা বলেন, দুর্নীতি ও কমিশন খোরির কারণে সেতুটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। মিশ্র বলেন, এক সময় মহাজোট সরকারের আমলে বিদ্যালয়ের একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল, এখন সেতুটিও ভেঙে পড়েছে। বিজয় সিনহা বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। আজকাল কমিশন খোরি উপরে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন। কর্মকর্তারা যদি প্রত্যক্ষভাবে আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্যের কারণে এমন ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক।