আজ অর্থাৎ বুধবার বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জে পি নাড্ডা। তবে বাংলা সফরটা খুব একটা ভালো ভাবে শুরু হলো না তার। দুপুরে কলকাতার হেস্টিংসের অফিসে ঢোকার সময় ৩০-৩৫ জন লোক ওই বিজেপি নেতার উদ্দেশ্যে “গো ব্যাক” স্লোগান তোলেন এবং তাকে কালো পতাকা দেখায়। পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে পুলিশকে। পুলিশের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আয়াতে আসে পরিস্থিতি।
আজ, বুধবার সকাল সাড়ে বারোটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে এসে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাকে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানাতে যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়, অনুপম হাজরা, রূপা গাঙ্গুলী প্রমুখরা। তারপর পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তিনি কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছান। আর সেখানেই শুরু বিপত্তির। হেস্টিংসে পৌঁছাতে আচমকা তার গাড়ির সামনে চলে আসে অনেক বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা তার উদ্দেশ্যে “গো ব্যাক” স্লোগান দেয় ও তাকে কালো পতাকা দেখায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসলে হেস্টিংস এর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন জে পি নাড্ডা।
হেস্টিংসে পৌছেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জে পি নাড্ডা। তিনি সরাসরি জানান, “একুশের নির্বাচনে বাংলায় অবশ্যই গেরুয়া পতাকা উড়বে। মমতা অরাজকতার সরকার চালাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলায় বিজেপি ২০০ আসনের বেশি সিট জয়লাভ করবে। একবার বিজেপি বঙ্গে চলে এলে সোনার বাংলা গড়বে তারা। এইজন্য একুশে নির্বাচনে মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”
এছাড়াও মমতা সরকারের লকডাউন পরিকল্পনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়েছেন, “৩০ জুন ঈদের দিন মমতা সরকার ছুটি দিতে পারল, আর এদিকে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তাহলে কেন ছিল লকডাউন?” এছাড়াও তিনি রাজ্য পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি রাজ্য পুলিশের অরাজকতা ও দল দাসে পরিণত হওয়ার তীব্র নিন্দা করেছেন। আরামবাগ টিভি সম্পাদককে গ্রেপ্তার ইস্যুর প্রসঙ্গ তুলে তীব্র তুলোধোনা করেছেন রাজ্য পুলিশের। এছাড়াও তিনি প বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধার কথা সবার সামনে তুলে ধরেছেন।