নিউজপলিটিক্সরাজ্য

স্ত্রীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার নিদান, দিলিপের বিরুদ্ধে আক্রমণে বিজেপির সহ-সভাপতি

তিনি নিজেও সস্ত্রীক বিজেপি ছাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন

Advertisement

গত রবিবার হঠাৎ করেই সকাল সকাল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খড়্গপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের সাথে কথা বলেছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বহুদিন হয়ে গেল সেখান থেকে জল নামছে না এবং এলাকার নিকাশি সমস্যা রয়েছে। এই কথা শোনার পরেই কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। সরাসরি কাউন্সিলর এর উদ্দেশ্যে একাধিক নরম-গরম মন্তব্য করে দেন দীলিপবাবু।

কিন্তু যখন তিনি জানতে পারেন যে এলাকার কাউন্সিলর নিজেই বিজেপি করেন, তখন এলাকার মানুষদের সামনে নিজের ইমেজ বাঁচানোর জন্য সরাসরি এলাকার কাউন্সিলরকে দোষী হিসেবে দাবি করেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি ছিল বিজেপি কাউন্সিলর শুকরাজ কৌরকে জয়লাভের পর থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। আর এই বিষয়টি শোনার পরেই দিলীপ ঘোষের অদ্ভুত মন্তব্য।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দরকার পড়লে কাউন্সিলর এর বাড়ির গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন। বাড়ির সামনে নোংরা ফেলে আসুন। সবকিছুকে দিলীপ ঘোষ করে দেবে? এমনিতেই টাকা দেওয়া হয়েছে সাংসদ তহবিল থেকে। একেতো টাকা দেবো তারপর আবার অভিযোগ শুনবো।’ তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই কথা কানে যায় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলারের স্বামী তথা বিজেপির সহ-সভাপতি সুখবির সিং অটোয়ালের।

দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি তার পর থেকে একের পর এক মন্তব্য করতে শুরু করেন। বোঝা গিয়েছে স্ত্রীর অপমানে তার গোঁসা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাকে বা আমার স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন।বিরোধীদের কথা শুনে দীলিপবাবু আমার স্ত্রীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখতে বলেছেন।এটা বরদাশ্ত করবো না। আমরা বিজেপি। আমরা মহিলাদের সম্মান দিতে জানি। আমি চাই দীলিপবাবু আমার স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান। যদি ক্ষমা না চান তাহলে আমি চিন্তাভাবনা করব।’ তাহলে কি প্রকাশ্যে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Back to top button