বাংলায় মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিবহন, বিজেপির ইস্তাহারে মহিলাদের জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। এখন রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। এবারের নির্বাচনে যে তৃণমূল বনাম বিজেপির হেভিওয়েট লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই দুটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে নির্বাচনে লড়াইয়ের মাঠে নেমে পড়েছে। কিছুদিন আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসকদলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল। সেই ইশতেহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কল্পতরু হয়ে উঠেছিলেন। এবার আজ অর্থাৎ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। আশাতিত ভাবেই বিজেপি তাদের ইশতেহারে চমক দিয়েছে। ইশতেহারের মধ্যে বিজেপি বাংলার মেয়েদের জন্য কল্পতরু হয়ে উঠেছে।
বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীপক্ষ বারংবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে নারী সুরক্ষা ইস্যু নিয়ে। বারবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ টেনে বলেছে যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারীদের কোন সুরক্ষা নেই বা মর্যাদা নেই। সেই কথাকে খন্ডন করতে ভিডিও শিবির যে আজকে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে মহিলাদের জন্য কল্পতরু হয়ে উঠেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিজেপি তাদের ইশতেহারে জানিয়েছে যে নির্বাচনে বিজেপি সরকার বাংলায় শাসন দায়ভার পেলে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া বিজেপি জিতলে বাংলায় রাজ্য পুলিশে ৩ ও রিজার্ভ ফোর্সে ৯ মহিলা ব্যাটেলিয়ান তৈরি করা হবে।
এখানেই শেষ করেনি বিজেপি। বাংলার মহিলাদের জন্য আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্প এনে চমকে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। শাহ জানিয়েছেন, বাংলায় মেয়েদের শিক্ষা ও পরিবহনের খরচ সম্পূর্ণ সরকার বহন করবে। বাংলার মধ্যে যেকোনো জায়গায় মহিলারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিবহন করতে পারবে। এছাড়া মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হলে তারা এককালীন ২ লাখ টাকা করে পাবে। এর পাশাপাশি দলিত ও অনগ্রসর মেয়েদের জন্য বিজেপি সরকার “বালিকা আলো” প্রকল্প শুরু করবে। এই প্রকল্পে দলিত-আদিবাসী ছাত্রীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৩ হাজার, নবম শ্রেণিতে ৫ হাজার, একাদশ শ্রেণিতে ৭ হাজার এবং দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করলে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া বিধবাদের বিধবা ভাতা মাসে ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শাসকদল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার তাদের মহিলামুখী প্রকল্প নিয়ে গর্ব করে। এমনকি তৃণমূলের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত হয়। তাই এবার বিজেপি মহিলা ভোটব্যাঙ্ক টানতে বাংলার মেয়েদের জন্য কল্পতরু হয়ে উঠেছেন।