দেশনিউজপলিটিক্সরাজ্য

রথযাত্রা শেষে বড় চমক বিজেপির! হতে পারে ব্রিগেড, আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

নয়াদিল্লি: রথযাত্রাকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে প্রচারের ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি (BJP)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতায় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) হাত ধরেই শুরু হতে চলেছে ৫টি রথযাত্রা। তবে সূত্র মারফত আরও খবর পাওয়া যাচ্ছে। রথযাত্রার শেষে আরও বড় চমক দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রথযাত্রার কর্মসূচির শেষে মার্চেই (March) প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে বিরাট সমাবেশ করতে চাইছে বিজেপি। ব্রিগেডে মোদীর সমাবেশে ৮ থেকে ১০ লাখ লোকের জমায়েতে আশা করছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আবেদন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রধানমন্ত্রী আদৌ ওই সমাবেশে অংশ নেবেন কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট জানা যায়নি।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়া আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সরকারি কর্মসূচি অংশ নেবেন তিনি। ৬ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির পরিবর্তন রথযাত্রা। মোট ৫টি রথযাত্রা হবে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই রথযাত্রা পরিক্রম করবে বলে খবর। প্রত্যেকটি সূচনা হবে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার হাত ধরে। প্রথম রথযাত্রা শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থেকে। ঘুরবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার একটি অংশে।  শেষ হবে ব্যারাকপুরে। দ্বিতীয় রথযাত্রা শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও মালদায় ঘুরবে। শেষ হবে মালদা টাউনে।

তৃতীয় রথযাত্রা শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিরাট অংশ জুড়ে এই রথযাত্রা হবে। চতুর্থ রথযাত্রা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম থেকে। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম ঘুরবে এই রথযাত্রা। শেষ হবে হাওড়ার বেলুড়ে। পঞ্চম রথযাত্রা শুরু হবে  ৯ ফেব্রুয়ারি তারাপীঠ থেকে। বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া, বীরভূম ও বাঁকুড়াজুড়ে ঘুরবে এই রথযাত্রা। শেষ হবে পুরুলিয়া শহরে। এই রথযাত্রার সঙ্গে ধর্মীয় কোনও বিষয় নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্ষ জানিয়েছেন, “এই যাত্রা কোনও রামমন্দির কিংবা ধর্মের যাত্রা নয়। এটা সম্পূর্ণ পরিবর্তন যাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের এই সরকার থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে এই রথযাত্রা।” তবে রথযাত্রা ঘিরে এখন জটিলতা দেখা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে আদৌ সবুজ সংকেত মিলবে কিনা তা নিয়ে দোলাচলে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে এই রথযাত্রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে  অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন এক আইনজীবী।

Related Articles

Back to top button