কৃষ্ণনগর উত্তর এর বিধায়ক মুকুল রায়কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখনো পর্যন্ত বিজেপি বিধায়ক এবং তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠ নেতা এবং এই কারণে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এক বর্তমানে তৃণমূলে চলে যাওয়ার কারণে মুকুল বিজেপির গাত্রদাহের কারণ হয়ে উঠেছেন। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা এবারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর কাছে নালিশ জানাতে যাচ্ছে বিজেপি পরিষদীয় দল। বিকেলে বিজেপি পরিষদীয় দলের ৫ জন সদস্যকে নিয়ে রাজভবন যেতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব সূচিত করবে এবং তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে।
যদিও, শুক্রবার যে অধিবেশনে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করা হবে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সেটা মোটামুটি আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরেই ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়ক রা। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তারা। কিন্তু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান তাদের কোন কমিটি প্রয়োজন নেই। সেই লক্ষ্যে প্রথম বিধানসভার যাবতীয় কমিটির চেয়ারম্যান থেকে দলীয় বিধায়কদের ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তারপরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে মিটিং করার জন্য একটি সময়ে চেয়ে নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি পরিষদীয় দলের সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবন থেকে বিরোধী দলনেতা কে সময় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের বক্তব্য রাজ্যপালের সামনে বলতে পারে। কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় রাজ্যপাল কে দেওয়া প্রতিবাদপত্রটি তৈরি করতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
অপরপক্ষে বিজেপি বলছে, পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের অধিকারকে শাসকদল খর্ব করতে চাইছে। এই কারণে মুকুল রায়কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া কে হাতিয়ার করে শাসকদলের অগণতান্ত্রিক মনোভাব সামনে আনতে চলেছেন বিজেপি বিধায়ক রা।সেই লক্ষ্যেই, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে বৈঠক করার কথা বিজেপি পরিষদীয় দলের।