এবারে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর কোনরকম সময় নষ্ট করতে চাইছে না তারা। আগামী তিরিশে জুলাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ এর দ্বিতীয় শুনানি হওয়ার আগে সরাসরি এই মামলার নিষ্পত্তি করতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় শুনানির আগে পরিষ্কার করে নিতে চাইছে বিজেপি। তারপরে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। বিজেপি পরিষদীয় দলের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদি ঠিকঠাক সবকিছু চলে তাহলে পাবলিক একাউন্টস কমিটি বৈঠকে একসাথে বসার কথা শুভেন্দু এবং মুকুলের। কিন্তু মুকুল রায়ের মুখোমুখি হতে চাইছেন না শুভেন্দু অধিকারী তাই হাইকোর্টে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে মামলা দায়ের করবেন তিনি নিজেই। যদিও এই রকম নিদর্শন কিন্তু আগেও আছে। ২০১৬ সালে মালদহের গাজোল থেকে সিপিআইএমের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন দিপালী বিশ্বাস। তারপরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পরের বছর তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই সময় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় হয়েছিল। তৎকালীন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী দিপালী বিশ্বাস এর বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে শুনানি হওয়ার পরেও দিপালী বিশ্বাসের এই মামলাটি নিয়ে কোনোরকম নিষ্পত্তি করা যায়নি। তাই আগের বারের কথা মাথায় রেখে এবারে আর সেরকম ভাবে ভুল করতে চাইছে না বিজেপি।
বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি তারা এই মামলাটি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি টিকিটে জয়লাভের পরে হঠাৎ করেই তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল রায়। তারপর আবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাকেই পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। তারপরে যেন একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে বারংবার দাবি করা হয়, যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়। এই নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে ১৬ই জুলাই প্রথম শুনানি হয়েছে কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। দ্বিতীয় শুনানি ৩০ জুলাই। কিন্তু তার আগেই পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে দিয়েছে বিজেপি। এই মামলার খাড়ায় বর্তমানে বেশ চাপে মুকুল রায়। সঙ্গেই তাকে নিয়ে চাপে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।