কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবেন দিলীপ ঘোষ? তালিকায় আছেন রাজ্যের একাধিক সাংসদ
আগামী নভেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজ্য সভাপতি হিসেবে, তাই তাকে এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে জায়গা দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে কিছুটা আসন দখল করতে হবেই এবং সেই লক্ষ্যে মাঠে নামতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ঘোষণা অনুযায়ী বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদল শুরু করতে চলেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা দীর্ঘক্ষন বৈঠক করে এই মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে আলোচনা করেন। রবিবার এই জল্পনা আরো গতি পেল যখন জানা গেল বাংলা থেকে বেশ কয়েকজন হয়তো এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে চলেছেন। এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন পাকাপোক্ত তথ্য পাওয়া যায়নি তবে মনে করা হচ্ছে বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষকে এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের একটি পদ দেওয়া হতে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বাংলায় বিজেপি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য টার্গেট বাংলা লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গত লোকসভা নির্বাচন থেকে উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করে আসছে বিজেপি। আর এবারে হয়তো সেই ভালো ফলের ফলস্বরূপ উত্তর বঙ্গের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে চলেছে। এবারে বিধানসভাতে ও নিশীথের জেলা কোচবিহার সহ গোটা উত্তরবঙ্গে বেশ ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে হয়তো নিশীথ প্রামানিক এবারে পুরস্কার পেতে চলেছেন তার নিষ্ঠার এবং কাজের।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু জায়গায় খারাপ ফল করলেও মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় এখনো পর্যন্ত নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে রাখতে পেরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনেও এই জায়গা থেকে সমস্ত আসন প্রয়োজন হবে বিজেপির। এই কারণে মতুয়া এলাকার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে এবারে মন্ত্রী করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। এছাড়াও দিলীপ ঘোষ কে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী নভেম্বর মাসে রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের।
বিজেপিতে নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দু’বারের বেশি রাজ্য সভাপতি থাকতে পারেন না। তারপরে রাজ্যে এবারে অত্যন্ত খারাপ ফলাফল করেছে বিজেপি তাই অনেকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাই এবারের রাজ্য সংগঠন থেকে তাকে সরিয়ে একেবারে সাইডলাইন না করে তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষ নয়, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এবং হুগলি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এর নাম এখানে অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে।