সুশান্ত কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা, প্রতারণা এবং সম্পত্তির আত্মসাৎসহ বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। এরপর অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রিয়া চক্রবর্তীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা আয় করে কি করে তিনি ৭৬ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন সেই বিষয়ে তাকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করেননি রিয়া।
একইসাথে খতিয়ে দেখা হয় রিয়া ও সুশান্তের কল রেকর্ড। গত এক বছরে রিয়া কাকে কতবার ফোন করেছিলেন জানা গিয়েছে সেই সকল প্রশ্নের উত্তর। অস্বাভাবিকভাবে সুশান্তের থেকেও বেশি বার কথা বলেছেন রিয়া অন্য কারো সঙ্গে। কল রেকর্ড অনুযায়ী সুশান্তের সঙ্গে গত একবছরে রিয়ার কথা হয়েছে ১৩৭ বার। অন্যদিকে শ্রুতি মোদি যিনি রিয়ার বর্তমান ও সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার, তার সাথে কথা হয়েছে ৮০৮ বার। একইসাথে পরিচালক মহেশ ভাটের সাথে কথা হয়েছে ১৬ বার।
সূত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে সুশান্ত যেই সময় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারী থেকে ২৪শে জানুয়ারীর মধ্যে রিয়া সুশান্তকে ২৫ বার ফোন করেন। উল্লেখযোগ্য, রিয়া ও তার পরিবারের সদস্যেরা তার মানসিক অবসাদের কথা সবাইকে জানিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। সেই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য মুম্বাই থেকে চন্ডীগড় দিদির বাড়িতে চলে যান সুশান্ত। তখন তাকে মুম্বাই ফেরার জন্য ২৫ বার ফোন করেছিলেন রিয়া। একই সাথে আরও জানা গিয়েছে গত ৮ই জুন-১৪ই জুন পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি রিয়ার। তবে অন্য কোনো নাম্বারের মাধ্যমে তাদের কথা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
কল রেকর্ড থেকে আরও তথ্য উঠে এসেছে যে, গত এক বছরে বাবার সঙ্গে রিয়ার কথা হয় ১১৯২ বার। পাশাপাশি তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর সাথে কথা হয় ১০৬৯ বার। প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই অভিযুক্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। তবে তার ঘনিষ্ঠদের দাবী তার নামে মিথ্যে রটিয়ে বদনাম করা হচ্ছে। কিছু না জেনেই দোষীর তকমা লাগানো, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে কুরুচিকর আক্রমণ। সম্প্রতি সুশান্ত আত্মহত্যা কান্ডে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরপর অন্তত আসল সত্য উঠে আসবে, এমনটাই আশা করছেন সুশান্তের পরিবারসহ অনুগামীরা।