সুশান্ত মৃত্যুর পর সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। বলিউডে ড্রাগের অনুপ্রবেশ ও ব্যবহার নিয়েও সরব হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। মুম্বাই পুলিশের অক্ষমতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বারবার দেখিয়ে দিয়েছিলেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত। ঠিক এরপরেই কঙ্গনার উপর তোপ দাগতে শুরু করেন বি টাউনের কিছু অভিনেত্রী ও প্রযোজক এবং সরাসরি সংঘাতে আসেন শিবসেনা। মহারাষ্ট্র সরকার কঙ্গনাকে মুম্বাই না ফেরার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। তবে দমে যাননি কঙ্গনা। শিবসেনার সাঁড়াশি আক্রমনে যোগ্য জবাব দিয়েছেন সুদুর মানালিতে বসেই।
শিবসেনার মুখপাত্র কখনো কঙ্গনাকে হারামখোর তো কখনো বেইমান বলেছেন। এরপরেই কঙ্গনা মহারাষ্ট্র সরকারকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান যে তিনি ৯ই সেপ্টেম্বর মুম্বাই ফিরবেরন এবং কারোর বাপের ক্ষমতা থাকলে তাঁকে আঁটকে দেখাবে। এরপরেই কঙ্গনার কাছে বিএমসি-র একটি নোটিশ যায় যেখানে বলা হয় কঙ্গনার মুম্বাইয়ের অফিস অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে। মাত্র দুইদিনের নোটিশ এর মাথায় প্রায় রাতারাতি কঙ্গনার মণিকর্ণিকা অফিস ভেঙ্গে তছনছ করার প্রক্রিয়া চালায়। এরই মধ্যে, কঙ্গনার আইনজীবী বোম্বে হাইকোর্টে মামলা ঠোকেন, শেষে বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশেই বন্ধ হয় কঙ্গনার রামমন্দির ধংসের কাজ। উল্লেখ্য, কঙ্গনা তাঁর এই অফিসেই অযোধ্যা বলে একটি মুভির শুটিং করবেন তাই তিনি তাঁর অফিসকে রাম মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করেছেন, এমনটাই জানান কঙ্গনা।
মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে আসার পর চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। যেই ড্রেসে তিনি ফিরেছিলেন, সেই ড্রেসে বসেই তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। রীতিমত চণ্ডী মূর্তিতেই মহারাষ্ট্র সরকারকে ধুয়ে সাফ করে দিলেন। তিনি সাফ জানান, ” আমি কারোর কাছে মাথা নত করব না্ ” আজ আমার ঘর ভেঙ্গেছে কাল তোর দম্ভ চুরমার হবে”, “সময় পালটাবে, সময় কখনো একইরকম থাকে না”…কঙ্গনা এমনকি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের কথাও তুলে ধরেছেন। এবং কঙ্গনা বলেছেন, ” আমি শুধু অযোধ্যা নিয়ে নয় কাশ্মীর নিয়েও ফিল্ম বানাব”। আমরা আরও একবার দেখে নেব কঙ্গনার ট্যুইট।উদ্ধব ঠাকরে কে ঠিক কী বললেন কঙ্গনা? চলুন দেখে নিই কঙ্গনার মুখেই।
तुमने जो किया अच्छा किया ?#DeathOfDemocracy pic.twitter.com/TBZiYytSEw
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020