দীর্ঘ ২৬ দিনের টানাপোড়েনের পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলো। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আরিয়ান খানের কথাই বলছি। মাদক কাণ্ডে জামিন পেল শাহরুখ আর গৌরি খানের তনয় আরিয়ান খান। এখন এই কেসের সুরাহা না হলেও কিছুটা স্বস্তি এল মন্নতে। দীপাবলীর আগেই ঘরের ছেলে ফিরলো। নবরাত্রিতে মন্নত জুড়ে ছিল অবসাদ। কারণ সেই সময়
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং সেশন কোর্ট খারিজ করেছিল গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার শাহরুখ পুত্রের জামিন।
মঙ্গলবার আর বুধবার আরিয়ানের মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার শুনানি শেষে আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করলেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নীতিন সাম্বরে। আর এতেই একটু স্বস্তির হাসি হাসলেন শাহরুখ-গৌরী। শুধু আরিয়ান খান নয় এদিন জামিন পেলেন এই হাইপ্রোফাইল কেসের অন্যতম অভিযুক্ত গ্আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা। এদের জামিনও মঞ্জুর করেছে উচ্চ আদালত।
গত ৩ অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী মাদক চক্র কান্ডের জেরে গ্রেফতার হন আরিয়ান খান।
মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খানকে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি আরিয়ান। মন্নত ছেড়ে আর্থার রোডের জেলে কাটাতে হচ্ছে আরিয়ানকে।
এই মামলায় আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। আরিয়ানের থেকে মাদক দ্রব্য পাওয়া না গেলেও শাহরুখের বেস্ট ফ্রেন্ড আরবাজ মার্চেন্টের থেকে ৬ গ্রাম এবং মুনমুন ধামেচার থেকে ৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছিল এনসিবি।
অবশ্য এনসিবি আদলতে বাখ্যা দেন, এই দিন সচেতনভাবে আরিয়ানের কাছে মাদক ছিল’ এনসিবি হাই কোর্টকে জানায়, ছোটবেলার বন্ধু আরিয়ান-আরবাজ। ২ অক্টোবর প্রমোতারীর অনুষ্ঠানে তাঁরা একসঙ্গে যাত্রা করছিল। এইদিন একটাই ঘরেমতাঁরা থাকত। সেখানে একজনের কাছে মাদক পাওয়ার অর্থ অন্য ব্যক্তি সচেতনভাবে সেই মাদক হেফাজতে রেখেছিল। পাশাপাশি এনসিবির তরফে এটাও বলা হয় যে শাহরুখ পুত্র গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করছেন। আরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ( ৬৫ বি সার্টিফিকেট সহ), পঞ্চনামা এবং সিক্রেট নোটের উল্লেখ করেন এনসিবির কৌঁসুলি। তাঁদের মতামত বৃহত্তর মাদকচক্রের অংশ হল আরিয়ান। বারবার এনসিবির এই দলিল দেওয়া সত্ত্বেও এদিন অবশেষে আরিয়ানের জামিনে শিলমোহর দিল আদালত।