Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

করোনার থেকে বাড়তি সুরক্ষার জন্য এবার শুরু হচ্ছে বুস্টার টিকাকরণ, দেখুন কারা পাবেন এবং কবে থেকে

Updated :  Tuesday, May 25, 2021 1:43 PM

এবারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ভ্যাকসিন নিয়ে। এতদিন পর্যন্ত ভারত বায়োটেক তারেক কোভ্যাকসিন এর দুটি করে ডোজ তৈরি করেছিল। তবে এবারে এই জোড়া ডোজের পরে ৬ মাসের মাথায় আবার একটি বুস্টার ডোজ মানব শরীরে পরীক্ষামুলকভাবে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে ভারত বায়োটেক। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ওরফে ডিজিসিআই এই নির্দেশ বহাল করেছে।

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই বেছে নিয়েছেন তাদের শরীরে অতিরিক্তসুরক্ষা দেওয়ার ভাবনা থেকে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে ভারত বায়োটেক এর পক্ষ থেকে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি টিকার পরিমাণ ভারতে অনেকটা কম। বেশ কয়েকটি রাজ্যে টিকাকরন প্রক্রিয়া ধাক্কা খাচ্ছে এই টিকা কম থাকার কারণে। তার মধ্যেই এবারে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা করনের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, এবার থেকে শুধুমাত্র অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্লট বুকিং নয়, সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে স্লট বুক করা যাবে।

তার সাথে সাথেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা যারা ইতিমধ্যেই কো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং ইতিমধ্যেই ডোজ গ্রহণ করার পরে ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই বুষ্টারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বলতে গেলে, আপাতত দেশের ৯টি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এই টিকাকরণ সম্ভব হবে। দিল্লির এইমস হাসপাতাল এর কো ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয় রাই। তিনি, এই ভ্যাকসিন প্রাপকদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করানোর জন্য নতুন বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, যাদের যাদের এই নতুন ডোজ দেওয়া হবে তাদেরকে আরও ছয় মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।যদি পরীক্ষামুলকভাবে ভালো ফল লাভ করতে পারে ভারত বায়োটেক তাহলে কিন্তু সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরে এই বুস্টার টিকাকরন করা হতে পারে। অন্যদিকে এবারে যদি আপনারা চান তাহলে টিকাকরণের দিন টিকাকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়ে নিতে পারবেন। কেন্দ্রের যুক্তি, এর আগে বহু মানুষ তাদের নাম নথিভুক্ত করার পরে ভ্যাকসিন নিতে যাননি, যার ফলে নষ্ট হয়েছে ভ্যাকসিন। এরকম পরিস্থিতি যাতে টিকা নষ্ট না হয়, সেই জন্য এই নতুন নাম নথিভুক্তকরণ এর প্রক্রিয়া চালু করা হলো। এখানে আগে থেকে যারা নাম নথিভুক্ত করার পর আসবেন না তাদের জন্য বরাদ্দ টিকা অন্যদের দিয়ে দেওয়া হবে।