কলকাতা : অনলাইন ক্লাস চলার মাঝেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো রিজেন্ট পার্ক এলাকার এক স্কুল ছাত্র। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ও বাবা দেখে গেছিলেন ছেলে ক্লাস করছে, কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির দরজা ভেঙে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তার বাবা।
শোনা গিয়েছে লকডাউন চলাকালীন স্কুলের পড়াশোনা চলতো অনলাইনেই। কিন্তু পড়াশোনা করতে রাজি না থাকায় তাকে প্রায়ই বকাবকি করতো তার বাবা-মা। প্রতিদিনের মতন এদিনও তার বাবা-মা কাজে বেরোন। তখনও ওই ছাত্রকে অনলাইন ক্লাসের জন্য বসিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রের বাবা বাড়ি ফিরে আসেন। আর বাড়িতে এসে ছেলের ঝুলন্ত দেখে ভেঙে পড়েন এবং রিজেন্ট পার্ক থানায় খবর দেন। পুলিশের অনুমান ক্লাস চলাকালীনই ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর ওই ছাত্রের বাবা মা দুজনেই চাকরিজীবী। কিন্তু কাজের সূত্রে তার বাবা বাইরেই থাকতেন, পেশায় তিনি রেলের ঠিকাদার। মা শহরের একটি দাঁতের ক্লিনিকের কর্মী। রিজেন্টপার্কের কালীতলায় থাকতেন এই পরিবার। প্রতিদিনের মতন এইদিনেও কাজে বেড়িয়েছিলেন ওই মৃত ছাত্রের মা আর তাকে সাইকেলে পৌঁছাতে গিয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু বাড়ি ফিরে অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া মেলেনি ওই ছাত্রের।
পরে চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই নজরে আসে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। তবে কিছুদিন ধরেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্র। তার আত্মহত্যার পেছনে ঠিক কি কারণ রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছেন রিজেন্ট পার্ক পুলিশ।