নিউজপলিটিক্সরাজ্য

চিকিৎসায় সাড়া দিলেও এখনও বিপদ কাটেনি বুদ্ধর, চলছে কড়া ডোজের ইনজেকশন

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এখনো আচ্ছন্নভাব কাটেনি তাই তাকে রেমডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে

Advertisement

প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধদেবের হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকেই উদ্বিগ্ন তার ভক্তরা। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ। দিন কয়েক আগে বুদ্ধবাবু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হোম আইসলেশনে থাকলেও, মঙ্গলবার আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

গতকাল দুপুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০ এর নিচে নেমে গেলেই আর দেরি করেননি পলিটব্যুরো সদস্যরা এবং তার পরিবারের অন্যরা। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে করোনা দানা বাঁধার ফলে চিকিৎসকরা বেশ চিন্তিত ছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আচ্ছন্নভাব থাকলেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে অল্প বিস্তর খাবার খেয়েছেন বুদ্ধদেব। এছাড়াও কয়েকজনের সাথে অল্প বিস্তর কথাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

বাড়ি যাওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকলেও হাসপাতাল থেকে তাকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না। এখন বুদ্ধদেবের রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক এবং মূত্রনালীতে কোনরকম সংক্রমণ নেই, শুধু রয়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। হাসপাতালের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে তাকে একটি রেমডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন। যদি তার পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে তাকে আরও একটি রেমডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

তবে শুধু বুদ্ধ নন, স্বামীর জন্য চিন্তা এবং পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে একা থাকার কারণে গতকাল রাত্রে প্যানিক অ্যাটাকে ভুগছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। গতকাল রাতে কোনরকম রিস্ক না নিয়ে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যাচ্ছে, বুদ্ধদেব রয়েছেন বর্তমানে ৩১৩ নম্বর কেবিনে এবং তার স্ত্রী মীরা রয়েছেন তার পাশেই ৩০২ নম্বর কেবিনে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বামীর মতোই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্ত্রী মীরাও। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরে আবারো অসুস্থ হওয়ায়, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও বেশ চিন্তিত তার পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন সবরকম সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার সবসময় প্রস্তুত।

Related Articles

Back to top button