বাম কর্মীদের কাছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই নিয়ে এখন বেশ কিছুটা ধন্দে রয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এর মোজাফফর আহমেদ ভবনের বড়ো কর্তারা। মনে করা হচ্ছে তাকে ভার্চুয়ালি বা রিয়েলি যেভাবে হোক না কেন ব্রিগেডে হাজির করতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ব্রিগেড সমাবেশে কিন্তু মাঠে আসতে চাইছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya) নিজে। দলের কাছে তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তাকে ব্রিগেডে পেতে সিপিআইএম নেতাদের মধ্যে ইচ্ছা প্রবল। যদিও যতক্ষণ না মেডিকেল টিম এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক অংকের দিচ্ছে এই নিয়ে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মেডিকেল টিম কে সিপিআইএমের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে অন্তত তাকে পাঁচ মিনিটের জন্যও ব্রিগেডে উপস্থিত করা হয়।
এছাড়াও ভার্চুয়ালি যদি বিষয়টি ব্যবস্থা করা যায় সেই নিয়ে কিন্তু ভাবনা তাদের মধ্যে রয়েছে। আজ অবধি কর্মী-সমর্থক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেশ কিছুটা কৌতুহলী। এখনো পর্যন্ত বুদ্ধদেবের বার্তা শোনার জন্য তারা মুখিয়ে থাকেন। শেষবারের জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভাষণ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে। সেবারে তিনি শিল্পায়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আজ অব্দি বাম কর্মী সমর্থকদের জন্য সেই বক্তৃতা স্মরণীয়। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে বক্তা হিসেবে নয় কিন্তু শ্রোতা হিসেবে ব্রিগেডে এসেছিলেন বুদ্ধদেব। সভামঞ্চের নিচে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে। আগের থেকেও বেশি ঘুমায় এবং ধুলো থেকে সমস্যা হয় তার। শরীর আগের থেকে অনেকটা বেশি অশক্ত। তার চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এত সমস্যা সরিয়ে এবারেও কি দিনে আসতে পারবেন ব্রিগেড গ্রাউন্ডে? রাজনীতিতে বর্তমানে এই প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে।