‘কুটিল রাজনীতি’, নন্দীগ্রাম ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
বুদ্ধ বললেন, "নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরে একটি গভীর কুটিল রাজনীতি করা হয়েছিল।"
এতদিন পর্যন্ত বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম ইস্যু নিয়ে একের পর এক তোপ দাগতেন বামেদের দিকে। কিন্তু এবারে তার একটি মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে ঘুরিয়ে দিলো রাজনীতির সমস্ত সমীকরণ। একদিন তার বক্তব্যে মমতা বলেছিলেন এই নন্দীগ্রাম হামলা নাকি চালিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তার লোকজন। তার সঙ্গে ছিলেন শিশির অধিকারী। আর এই বক্তব্যের পরেই হঠাৎ করে রাজনীতির মূল আঙিনায় এসে গেলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
এবারে নন্দীগ্রাম হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিজেপি এবং তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরে একটি গভীর কুটিল রাজনীতি করা হয়েছিল। এই আন্দোলন একটি নোংরা রাজনীতির শিকার। সেই সময়কার কুটিল চিত্রনাট্যের কান্ডারী বিজেপি এবং তৃণমূল আজকে একে ওপরের ওপর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে বাংলার রাজনীতির সেই যুগের প্রতিবাদী পার্টি দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন বহু যুবক। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বললেন, “গত এক দশকে পশ্চিমবঙ্গ সবদিক দিয়েই পিছিয়ে পড়েছে। যুবদের কাজের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেয়েছে। শিক্ষাঙ্গন কলুষিত, স্বাস্থ্য পরিষেবা গরিব মানুষের নাগালের বাইরে-কার্যত ভেঙে পড়েছে। দুর্নীতি-তোলাবাজি-সিন্ডিকেটরাজ রাজ্যবাসীর জীবনধারন দুর্বিষহ করে তুলেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা, আত্মনির্ভরতা সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যে আজ বিপন্ন”
এবারের নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ এর জোটের প্রার্থীদের সমর্থন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-আইএসএফ স্বৈরতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা বিরােধী জনগনের মাের্চা (সংযুক্ত মাের্চা) তৈরি করেছে। এরাই পারবে এই অন্ধকার থেকে রাজ্যকে বের করে আনতে। জনগনের স্বার্থে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাই এই শক্তিকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শ্রমিক-কৃষক ও খেটেখাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে এই সরকার রাজ্য পরিচালনা করবে। তাই, রাজ্যের সমস্ত আসনে সংযুক্ত মাের্চার প্রার্থীদের জয়যুক্ত করুন।”