মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, আজ অর্থাত পয়লা জুলাই থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে বাস পরিষেবা। যেহেতু এখন ট্রেন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে না তাই বাস পরিষেবা চালু করলে কয়েকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন এবং নিজের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন বলে জানান মমতা। কিন্তু, আজকে সকাল থেকেই বাসের দেখা নেই কোথাও। সারা রাজ্যে ৩০০০ সরকারি বাস নামার কথা এবং শুধুমাত্র কলকাতায় বাসের সংখ্যা হবার কথা ছিল ৮০০। কিন্তু সকাল হতে না হতেই বাসের দেখা নেই কোথাও।
ধর্মতলা আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। আজকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসক দিবস হিসেবে রাজ্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন, ফলে এখনো পর্যন্ত আসতে পারেননি অনেকেই। সরকারি বাস চালক এবং কর্মীরা অনুপস্থিত। তার সাথে সাথেই গড়িয়া থেকে একাধিক ডিপোতে সারি সারি পাশে দাড়িয়ে রয়েছে কিন্তু কোথাও দেখা নেই কোনো কর্মীর।
শুধু সরকারি বাস নয় পথে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার থেকে বাস পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন ৫০% যাত্রী নিয়ে বাস পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এখনো পর্যন্ত বাসের দেখা মিলছে না। ফলে চরম হয়রানির মুখে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।
শহরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের অনেকে। তাদের দাবি ন্যূনতম ১০ টাকা ভাড়া করতে হবে বাসে ওঠার জন্য। ২০১৮ সাল থেকে একইরকম ভাড়া রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে এই বাস হয়রানি নিয়ে বিজেপি নেতারা তৃণমূল সরকার কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বর্তমানে সমস্যা চলছে তাই ন্যূনতম ৫০ হাজার বাস রাস্তায় নামানোর কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তার কথায় গ্রাম থেকে শহরে আসতে পারছেন না লোকেরা, তাই তাদের পরিবহন এর সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।