চলতি বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমলেও মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের হার। বর্তমানে এপ্রিল মাসের শুরুতে গগনচুম্বী করোনা গ্রাফ দেখে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে গোটা দেশবাসী। আগের বছর এই সময় করোনার ভয়াবহতার কারণে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়েছিল। চলতি বছরেও প্রায় একই রকম অবস্থা গোটা দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু রাজ্য আংশিক লকডাউন ও দৈনিক নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে যাতে কিছুটা হলেও তারা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। তবে তাতে বিশেষ লাভ কিছু হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না পরিসংখ্যান দেখে। বরং দৈনিক পরিসংখ্যান আরো বেশি উদ্বেগে ফেলছে দেশবাসীকে।
গতকাল সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে করোনা সংক্রমনের হার। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে ভারতে যখন থেকে করোনা মহামারী শুরু হয়েছে তারপর এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এত হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশজুড়ে করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছে ৯০৪ জন। চলতি বছরে এটি একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মোট করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখের কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে এখন অব্দি করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৯ জনের।
করোনা আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই সেখানে সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং দৈনিক নাইট কার্ফু শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও সেখানে রেস্তোরাঁ, মল, সিনেমা হল ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অনেক বেসরকারি কোম্পানি। সরকারি অফিসগুলি ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রোটেশন মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরালা। এছাড়াও কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে পাল্লা দিয়ে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে।