নারদ মামলায় নাম জড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ছাড় পেলেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকও
সিবিআই অফিসারদের হুমকির অভিযোগে মমতার নাম জড়িয়েছে এই নারদ মামলায়
গত সোমবার থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নারদ মামলার পুনরুত্থান। আজ কলকাতা হাইকোর্টে দুই হেভিওয়েট নেতা ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ পর্ব আছে। কিন্তু তার মধ্যেই ভেবেচিন্তে ঘুঁটি সাজিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম। এছাড়াও নাম জড়িয়েছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সিবিআই এর অভিযোগ তারা এই মামলায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে। সিবিআই মনে করেছে গত সোমবার পূর্বপরিকল্পিতভাবে সিবিআই অফিস ঘেরাও করে তৃণমূল কর্মীরা। তাই আদালতের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি এই মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।
সোমবার সকালবেলা ফিল্মি কায়দায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চ্যাটার্জিকে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিজাম প্যালেস বিল্ডিং এ নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর পেয়ে সিবিআই দপ্তরে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে সেখানে উপস্থিত থাকেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই এর অভিযোগ যে মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের ঢুকে রীতিমতো আধিকারিকদের ওপর চিৎকার করেন। এমনকি অতিমারি আইনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেবেন বলে হুমকি দেন। তাই নারদ মামলার সাথে এবার নাম জড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুর ১২ টায় মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপরে পিছিয়ে তা দুপুর ২ টোয় করা হয়েছে। মামলায় সিবিআই মোট ৫৩ পাতার একটি চার্জশিট তৈরি করেছে। সিবিআই কর্তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছে যাতে এই নেতাদের আজ জামিন না হয়। তাই তারা এই নারদ কান্ড মামলাকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই গত সোমবার নিজাম প্যালেস এর বাইরে মানুষের বিক্ষোভের ভিডিও কেন্দ্রকে পাঠিয়ে তারা এই মামলা রোজভ্যালির মামলার মতো অন্যত্র জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।