এবারে রাজ্যের মধ্যে মলয় ঘটকের বাড়িতে হলো সিবিআই হানা। বুধবার মলয় ঘটকের আসানসোলের দুটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটি বাড়ি তালা বন্ধ দেখে অন্য আরেকটি বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি শুরু করে। ইতিমধ্যেই মলয়ের ৬টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করেছে সিবিআই। এর পরবর্তীতে তার অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল একটি তদন্ত অভিযান শুরু করে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মলয় ঘটকের শুধুমাত্র আসানসোলের বাড়িতে নয় কলকাতার লেক গার্ডেনস এর বাড়িতেও সিবিআই এর একটি দল পৌঁছেছে। কলকাতা এবং আসানসোল-সহ অন্তত সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই এর তদন্তকারী দল। বুধবার প্রথমে আসানসোলের আফতার রোড গার্ডেন, এবং জেলিডাঙ্গায় মন্ত্রীর দুটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। পরে তার পৈতৃক বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। মন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনও জমা রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি, আলিপুরে মলয় ঘটকের CA এর বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। সঙ্গেই মলয় ঘটকের ছেলের বাড়ির আলমারির এবং লকারের তারা ভাঙ্গা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পুরসভা ভোটের সময় কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের পূর্ত এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সময় তার কাছ থেকে তেমন কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। উল্লেখ্য, বুধবার গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি রয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালতে। তার আগে আসানসোলের তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে কয়লা পাচার মামলায় তল্লাশি অভিযান চালানো তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
অন্যদিকে সম্প্রতি কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেকের শ্যালিকা মেনোকা গম্ভীরকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও দিল্লি হাইকোর্টে এর বিরোধিতা করেছেন মেনকা। পরে আদালত জানিয়েছে, মেনকাকে কলকাতাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি এখনই অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ।