১ কোটি সরকারি কর্মচারীর জন্য সুখবর, এসেছে অষ্টম বেতন কমিশনের প্রস্তাব, ঘোষণা হতে পারে বাজেটে
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমন আগামী ২৩শে জুলাই এই নতুন বাজেট পেশ করতে চলেছেন
২০২৪-২৫ তাহলে বাজেটে এবারে অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের প্রস্তাব খুব শীঘ্রই আনতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে যার সরাসরি সুবিধা পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা। বর্তমানে বেতন ভাতা এবং সুবিধা গুলি পর্যালোচনা করার জন্য ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই নতুন বেতন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজেটে খুব শীঘ্রই এই নতুন বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
আগামী ২৩ শে জুলাই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫ পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কর্মচারীদের সমস্ত দাবির মধ্যে অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি অন্যতম। এর আগে ৬ জুলাই মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে লেখা একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং শ্রমিকদের কনফেডারেশন ২০২৪ সালের বাজেটের আগে তাদের দাবিগুলি তুলে ধরেছে। এখানেই কর্মচারী ইউনিয়ন সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এবারের বাজেটে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করতে হবে। আশা করা হচ্ছে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার তাদের বাজেটে অষ্টম বেতন কমিশন অন্তর্ভুক্ত করবে।
অষ্টম বেতন কমিশনের প্রস্তাব
শিব গোপাল মিশ্র, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য জয়েন্ট অ্যাডভাইজরি মেশিনারি, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এমপ্লয়িজ, ৪ তম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে একটি চিঠি লিখেছেন। প্রতি ১০ বছরে, একটি কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠিত হয়, যা সরকারী কর্মচারীদের বেতন কাঠামো, ভাতা এবং সুবিধাগুলি পর্যালোচনা করে এবং মূল্যস্ফীতির উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়।
আগের বেতন কমিশন
আগের, ৭ তম বেতন কমিশন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪-এ গঠন করেছিলেন। এর সুপারিশগুলি ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে কার্যকর হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই প্রথম নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে। দশ বছরের স্বাভাবিক ব্যবধান অনুযায়ী, ৮ম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে শুরু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ঘোষণা দেয়নি।
কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা তাদের বেতন, ভাতা এবং পেনশনের সম্ভাব্য বৃদ্ধির সুবিধা পেতে পারেন। এতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। এতে জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। মোদি সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে বেতন কমিশন সময়মতো গঠন করা উচিত এবং এর সুপারিশগুলি সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের স্বার্থে হওয়া উচিত। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে এই প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্তি সরকারি কর্মচারীদের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে এবং তারা সময়মতো বেতন কমিশনে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সুবিধা পেতে সক্ষম হবে।