দেশে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে জানা যাচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই ভোজ্য তেলের দাম বেশ কিছুটা কমে যাবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সোমবার আশা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে ভোজ্য তেলের দাম ইতিমধ্যেই কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তথ্যের রিপোর্ট, এক সপ্তাহে ৫৫.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তেলের দাম। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এর অতিমারির জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল গত এক বছরের জন্য। তাই সমস্ত জিনিসের পাশাপাশি এবারে ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবেই বাড়তে শুরু করেছিল। সাধারণ গ্রাহকের ভোজ্য তেলের দাম এবারে নিয়ন্ত্রণ আনতে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে জানিয়েছেন, সীমা শুল্ক এবং এফসিআইয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এই জিনিসের যোগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই নাকি দাম কমার সম্ভাবনা আছে বলেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি জানাচ্ছেন, এই ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে নাকি প্রত্যেক বছর এরকম ভাবেই তেল আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সরকারি বাজারে বনস্পতির দাম এখন ১৪০ টাকা কিলো যা এখন একেবারে রেকর্ড। কিছুদিন মধ্যেই ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এই বনস্পতির দামের
অন্যদিকে, লাগামছাড়া ভাবেই বাড়ছে বিভিন্ন বাদামের দাম। বর্তমানে সব ধরনের বাদামের দাম মোটামুটি ৩৭ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাম তেলের দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশ, সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ, সরষের তেলের দাম বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। তবে, খাদ্য সচিব যাই বলুন না কেন, এই দাম বৃদ্ধিতে যে আম বাঙালির হেঁসেলে টান ধরেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।