ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই রেল পরিষেবা উন্নতিকরনের কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল। অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত এই ভারতীয় রেলের পরিষেবা নিয়ে থাকেন। প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ এই রেল পরিষেবা ব্যবহার করেন। সম্প্রতি ভারতের লোকসভার বাদলকালীন অধিবেশনে, কিছু সদস্য ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য টিকিট ছাড় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। এবার এই নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি কি জানিয়েছেন? জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
জনতা দল (ইউনিয়ন)-এর সদস্য কৌশলেন্দ্র কুমার বলেছেন যে করোনা মহামারির আগে, সিনিয়র সিটিজেনদের ট্রেনের ভাড়ায় ছাড় ছিল, কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন যে মহামারি শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ভাড়ায় ছাড় এখনও শুরু হয়নি। কুমার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ট্রেনের ভাড়ায় আগের মতো ছাড় দেওয়া হোক।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে রেলওয়ে সমাজের সমস্ত অংশকে ট্রেনে অর্থনৈতিক পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে। ২০১৯-২০ এর মধ্যে, রেলওয়ে যাত্রী টিকিটে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। রেলওয়ে ট্রেনে ভ্রমণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে গড়ে ৫৩ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। এই ভর্তুকি সব যাত্রীদের ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। আর সিনীয়র সিটিজেনদের ভাড়ায় ডিসকাউন্ট সমন্ধে সরকার এই দাবিগুলি বিবেচনা করবে বলে আশা রেখেছেন তিনি।