Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

গঙ্গার জল বাড়বে ১৭ ফুট উচ্চতায়! বিকেল পর্যন্ত বিপর্যয়ের সতর্কতা কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায়

Updated :  Thursday, May 27, 2021 10:25 AM

সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে কয়েক পশলা। তবে শুধুমাত্র বৃষ্টি নয় আজকে কলকাতার জন্য রয়েছে আরো কিছু সতর্কবার্তা। আবহাওয়াবিদরা গতকালই জানিয়েছিলেন আজকে কলকাতায় ভরা কোটালের আশঙ্কা রয়েছে। যার দরুন বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, দুপুর ২.০৩ মিনিট নাগাদ গঙ্গার জলস্তর প্রায় ১৭ ফুটের কাছাকাছি উঠে যাবে। যার ফলে জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কলকাতার বেশ কিছু এলাকার।

এছাড়াও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সারা কলকাতাজুড়ে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশের একটি শাখা ঝাড়খণ্ডের দিকে ঢুকতে শুরু করেছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জেলায়, তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এখন ঝাড়খণ্ডের দিকে হওয়ায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদহের মত জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ঝাড়খন্ড এবং বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির রেশ কিছুটা পশ্চিমবঙ্গের দিকেও আসবে।

ভরা কোটালের কারণেও কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা গতকালই দেখেছিলাম কালীঘাট এলাকা আদিগঙ্গার ভরা কোটালের কারনে বেশ কিছুক্ষণ জলমগ্ন ছিল। আজকেও চিত্রটা কিছুটা একই। আজও কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসবে। সকাল ১১.৩০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত লকগেট বন্ধ রাখা হবে। এই সময় যদি বৃষ্টি হয় তাহলে কলকাতায় জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, এই সময় একটু জল জমতে পারে কিন্তু পরে লকগেট খুললে জল নেমে যাবে।

প্রসঙ্গত, গতকালের যশের ধ্বংসলীলার পর বাংলার উপকূলবর্তী জেলায় বহু মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাঁধ ভেঙে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ত্রাণ শিবিরে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এনডিআরএফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী উদ্ধার কার্যে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে সেচ, কৃষি এবং মৎসের দিকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগামী শুক্রবার দুর্যোগ কবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “১২৪ টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৩ লাখের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ১ কোটি মানুষ দুর্গত, ১৫ লাখের বেশি মানুষকে আমরা রেসকিউ করেছি। ১৪ হাজার রিলিফ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ১০ লাখ ত্রিপল, ১০ কোটি টাকার রিলিফ আমরা পাঠিয়েছি। রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব ভালোভাবে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখার এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”