বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারো জলছবি কলকাতায়। টানা বৃষ্টির জেরে কার্যত একেবারে জলমগ্ন অবস্থা কলকাতা এবং পার্শ্ব বর্তী এলাকার। বর্তমানে বাংলাদেশের উপরে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে যার কারণেই এই লাগাতার বৃষ্টি। কিন্তু আরো কতদিন এই বৃষ্টি চলবে? আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, এখনই যে কলকাতার অবস্থা ভালো হবে তা বলা যাচ্ছেনা। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বিভিন্ন জেলায়। এই জমা যদি তাড়াতাড়ি না বের করা যায়, তাহলে আরো সমস্যা বাড়বে বলেই জানানো হচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার তরফে এই জল সরানোর কাজে গতি আমার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সক্রিয় আছে ৭৪টি পাম্পিং স্টেশন। তারা লাগাতার এই জল সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল সরানোর কাজ চলছে অতিরিক্ত পাম্প বসিয়ে। কিন্তু এখনও এই জল সরার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছেনা। কলকাতা এবং শহরতলীর কিছু এলাকায় এই নিম্নচাপ ফলে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই মূলত এখনো জমা জলের সমস্যা। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের ওপরের এই নিম্নচাপ একজন কার্যকরী, তার সাথেও আছে একটি মৌসুমী অক্ষরেখা। দুয়ের সাঁড়াশি চাপেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর আজকে কলকাতায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে আবার শুক্রবার থেকে কলকাতায় কিছুটা বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও পশ্চিমের দিকে জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান এই তিনটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই শুক্রবার থেকে।
আবহাওয়া দপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলা যেমন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই মৎস্যজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা এই সময় মাছ ধরতে না যান। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিহারের দিকে এই নিম্নচাপ এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।