মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে একটা দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা। কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে পাঁচ দিনের জন্য ধর্মঘট করেছিলেন তারা। সেজন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে বলে জানালো ছত্রিশগড় সরকার। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা যে কয়েকদিন ধর্মঘট করেছেন সেই সময়টা ক্যাজুয়াল লিভ হিসেবে বিবেচনা করে ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। বরং ঐ কয়েকদিন সার্ভিস ব্রেক হিসেবে বিবেচনা করে সেই কয়েকদিনের মাইনে কেটে নেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।
রাজ্য সরকারি সংগঠনগুলি বক্তব্য রেখেছে, ছত্রিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। এভাবে কঠোর পদক্ষেপ না গ্রহণ করে ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত ছিল ছত্রিশগড় সরকারের।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে পাঁচ দিনের জন্য ধর্মঘট করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। পাঁচ দিন সরকারি অফিসের দপ্তরে ধর্মঘট চলে। সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ৭০ এর বেশি সংগঠনের ৫ লক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মচারী এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, চলতি বছরের ২ মে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল ছত্রিশগড় সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা, ২০২০ সালের জুলাই মাসে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা, গত বছরের জানুয়ারি মাসে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা এবং গত বছর জুলাই মাসের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১৭ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাননি ছত্রিশগড় সরকারের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আপাতত সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। আরো এক দফায় মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হতে চলেছে তাদের। এই কারণেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা।