করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল দুটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। বাংলার মাটিতে পা রেখেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালো পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে খুশি নন তাঁরা। রাজ্যে এসে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় দল। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনার পাশাপাশি তুলেছেন বেশ প্রশ্নও। আর এর পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় করনীয় কী, সে বিষয়ে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও প্রিন্সিপালদের ১১ দফা নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
এই নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ১১ দফা নির্দেশের মধ্যে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে দ্রুত মৃতদেহ সরানো থেকে শুরু করে দ্রুত করোনা সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়ে জোর দেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। এমআর বাঙুর হাসপাতালের উপর বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়মিত রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গুলো নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এই ১১ দফা নির্দেশের মধ্যে অন্যতম হলো, রোগীকে ফেরত পাঠাতে পারবে না কোন হাসপাতাল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষা নিশ্চিত করা। হাসপাতাল চত্ত্বর সঠিকভাবে স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি।