নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন সিং রাওয়াত সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী নেতা-নেত্রীসহ অন্তত ১৫ জন রয়েছেন চিনের গোপন নজরে৷ আপাতত এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক গোপন সূত্রে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে ১০ হাজারের বেশি হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের টানা ২৪ ঘন্টা নজরে রাখছেন চিন সরকার এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরা৷ এই নজরদারির জন্য শেনজেনের প্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে চিন সরকার ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধি এবং তাঁর পরিবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রতন টাটা, প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতিরা প্রায় প্রত্যেকেই রয়েছে এই তালিকায়।
বর্তমানে চিন ভারত দ্বন্দ্ব প্রতিদিনই এক একটা নতুন মোড় নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্যাঙ্গন লেকের চারপাশে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কড়া পাহারা থাকার কারণে কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে ব্যর্থ হয় চিন। এরপরেই ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে নিজেদের অংশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় চিনা সেনারা।
মে মাস থেকে দখল করে রাখা ফিংগার-ফোরে মঙ্গলবার প্রবেশ করে চিনা সেনারা। মোটর বোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতর প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদের তাড়া করে ভারতীয় সেনারা আর এই ঘটনার পরেই পাত তারি গুটিয়ে নিজেদের এড়িয়ায় পাড়ি দেয় চিন সেনারা। আর এই নিয়ে এখন দু দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে। আবার তার মাঝেই নতুন ঝামেলার আভাস দিয়ে ভারতের নেতামন্ত্রীদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন।