রাজীব ঘোষ: কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে একমাত্র চীন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুধু বেজিংয়ের আবদারেই কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করতে রাজি হয়েছিল।কিন্তু সেই বৈঠকে ৫ টি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে চীন ছাড়া সব দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে।চীন লাদাখ এবং অরুনাচলপ্রদেশ নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে চীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছে।শত্রুর শত্রু বন্ধু, এই নীতিতেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।এবার চীন ভারতের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, ইতিহাস ভোলা উচিত নয়।১৯৬২ সালের কথা স্মরণ করিয়ে চীনের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এই হুঙ্কার দেওয়া হয়েছে।পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত।
চীনের হুশিয়ারীকে কোনো গুরুত্ব দিতে রাজি নয় ভারত।ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা ১৯৬২ সালের ভারতীয় সেনা নয়।ইস্টার্ন আর্মি কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এম নরাভানে বলেন, আমরা ১৯৬২ সালের সেনা নই।যদি চীন বলে, ইতিহাস ভোলা উচিত নয়।সেই কথা আমরাও চীনকে মনে করিয়ে দিতে চাই।১৯৬২ সাল ভারতীয় সেনার ইতিহাসে কালো দাগ নয়।ভারতীয় সেনাকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল সেটাই তারা করেছে।ভারতীয় সেনা লড়াই জমিয়ে দিয়েছিল।নরাভানে ডোকালামের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, চীন ভেবেছিল শুধু হুমকি দিয়েই তারা বেচে যাবে।
সেই সময় চীন ফেসে গিয়েছিল কারন ডোকালাম সংকটে তাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না।আমরা যে কোনো ধরনের বিপদের মোকাবিলা করতে তৈরী।তাই আমরা সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম।এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় সেনা চীনকে বুঝিয়ে দিয়েছে এটা ১৯৬২ সালের ভারত নয়।ফলে ভারত চোখ নামিয়ে নয়,বরং চোখে চোখ রেখেই জবাব দেবে, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলো।