কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের দশ হাজার মানুষের ওপরে অনলাইনে নজর রাখছে চিন। ৫ চিনা হ্যাকার ভারতের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ দুনিয়ার একাধিক দেশের ১০০ কোম্পানির সাইট হ্যাক করেছে ওইসব চিনা হ্যাকাররা।
এই সব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে কমপিউটার হার্ডওয়ার তৈরির কোম্পানি, সফটওয়ার ডেভলপার, ভিডিয়ো গেম কোম্পানি, এনজিও এবং একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। প্রসঙ্গত, কিছু দিন ধরেই শোনা গিয়েছিলো, একটি চিনা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির উপর গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে। এই নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার সেই চিনা সাইবার নজরদারির অভিযোগের প্রসঙ্গে সাফাই দিয়েছিলো কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস সাংসদ বেণুগোপালকে একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন, একমাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানা যাবে। অভিযুক্ত ওই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিছুদিন আগেই জানা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে ১০ হাজারের বেশি হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের টানা ২৪ ঘন্টা নজরে রাখছেন চিন সরকার এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরা৷ শোনা গিয়েছে ওইসব হ্যাকাররা ২০১৯ সাল থেকে ভারতের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধি এবং তাঁর পরিবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রতন টাটা, প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতিরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলো চিনা নজরদারির তালিকায়। এমনকি ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫ চিনা সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ তুলেছিল, আর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল চিন।