এবার ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিপর্যস্তরা ত্রাণ না পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ উঠে আসে। সাধারণ মানুষের বদলে সমাজের সুবিধাবাদীরা এই রেশন নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন, এমন অভিযোগ করেন বহু মানুষ। গত ২০শে মে বুধবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’-এর ফলে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে সুন্দরবনের বহু মানুষ নিজেদের আশ্রয় হারিয়েছেন।
এছাড়া বহু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল হয়নি। মেলেনি পানীয়জলের পরিষেবা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিভিন্ন এলাকায় ৪ লক্ষেরও বেশি পোস্ট ভেঙেছে। জল জমে থাকার ফলে সম্পূর্ণ করা যায়নি পোস্টের সমস্ত কাজ। যার ফলে অনেক জায়গায় মেলেনি বিদ্যুৎ পরিষেবা। বসিরহাট, মিনাখা, হাড়োয়া, হাওড়া, খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, সন্দেশখালি জায়গার অনেকাংশে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। তবে খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে”।
আমফান তান্ডবে মৎস্যজীবিদের আর্থিক সহায়তা হিসেবে নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১০ হাজার টাকা ও জাল ছিঁড়ে গেলে তা মেরামতের জন্য ২৬০০ টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমফান তান্ডবে ভেঙে গিয়েছে প্রচুর গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ বনভূমি। তাই পরিবেশ দিবসের দিন থেকে সুন্দরবনে ৫ কোটি গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।