কোচবিহার: সদ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মুকুল রায়। তার হাত ধরে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে যথেষ্ট সফলতা পেয়েছে বিজেপি। আর বড় পদ পাওয়া মাত্র ফের একবার তৃণমূল-কংগ্রেস থেকে নেতা-নেত্রীদের ভাঙিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার চিত্রটা কিছুটা বদলে গেল। তৃণমূল-কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নয়, উল্টে পদ্মের থেকে বেরিয়ে জোড়া ফুলে নাম লেখালেন কোচবিহারের হেভিওয়েট নেতা। কোচবিহারে এটা নতুন নয়। এর আগেও বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে কোচবিহারে। আর এবার কোচবিহারে বিজেপির মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার অবজারভার মনিশ কুমার বানিয়া বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল-কংগ্রেসে।
মঙ্গলবার মনিশ কুমার বানিয়ার হাতে তৃণমূল-কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এই যোগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার পুর প্রশাসক ভূষণ সিং এবং আরও অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব। এদিন পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সফরে আসার পর থেকেই কোচবিহারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আজ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন মনিশ কুমার বানিয়া। এরপর আরও অনেকে বিজেপি থেকে তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করবে বলে আমরা আশাবাদী।’
যদিও দলে ভাঙন ধরেছে এ কথা স্বীকার করতে নারাজ বিজেপি। উল্টে তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন তৃণমূল-কংগ্রেস বলপূর্বক বিজেপি থেকে নেতা-নেত্রীদের তাদের দলে যোগ দেওয়া করাচ্ছেন। তবে তারা জোড়া ফুলের নাম লেখালেও পদ্মফুলেই নিজেদের মন দিয়ে বসে থাকবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারে বারবার বিজেপির এই ভাঙন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।