কলকাতা: পুজো আসতে আর মাত্র হাতে গোনা তিনদিন বাকি। আর পুজোর মরশুমে যখন গা ভাসানোর জন্য রাজ্যের একাংশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলায় বাড়চ্ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কিছুতেই নাগালে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। রাজ্যে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮৬৫ জন। মৃত্যু সংখ্যাও ৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। দুর্গাপুজোর আগে যা অশনিসংকেত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পুজো আসছে। বাজারে ভিড়। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। তার ফল পড়ছে রাজ্যের কোভিড চিত্রে। লাগাতার বৃদ্ধি হচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮৬৫। অর্থাৎ ৪ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে সংখ্যাটা। এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। মৃত্যুও ৬ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে ৬১ জন। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৯৯২। তবে উৎসবের আগে এই সংখ্যাটা রাজ্যের চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেললেও সুস্থতার হার কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সকলকে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২৭৭৯৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থের সংখ্যা ৩১৮৩।
তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটাই যে, উৎসবের আগেই যদি এই পরিসংখ্যান হয়, তাহলে দুর্গাপুজোর পরে রাজ্যে কী রূপ নিতে চলেছে সংক্রমণ, এ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার রয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে , সতর্কতা অবলম্বন না করলে সাংঘাতিক বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে রাজ্যে। করোনার ঢেউ আছড়ে পরার আশঙ্কায় আঁতকে উঠছে বিশেষজ্ঞরা। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদেরও গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে এর পরেও যারা শপিং মল, জুতোর শোরুমে ভিড় জমাচ্ছেন, তারা কি পুজোর দিনগুলোতেও বেরোবেন? সেটা কি আদৌ আনন্দদায়ক হবে নাকি মৃত্যুকে নিমন্ত্রণ করা হবে? এর উত্তর দেবে সময়।